বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
শিরোনামঃ
||‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ ১০০ কোটি টাকা দিল সরকার||ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী||চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে পাকিস্তানে আইসিসির দল||ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু||খাদ্য সংকট বাড়ছে, মানুষকে হাতির মাংস খাওয়াবে সরকার||তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবিটি কাল হয়ে দাঁড়ায়: ওমর সানী||আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিলেন মমতা||আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান||পুলিশের ১৮৭ সদস্য এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত||ভয়ে আত্মগোপনে আছি : মনিরুল ইসলাম||যে কারণে অনেক খুঁতখুঁতে পূজা চেরী||আখাউড়া স্থলবন্দরে কমেছে রপ্তানি বাণিজ্য||৯ দিনে চীন থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে||গাজীপুরে খুলে দেওয়া হয়েছে ৯৫ ভাগ পোশাক কারখানা||আস্থার সংকটে ব্যবসায়ীরা, এলসি কমেছে ৪৪ শতাংশ মূলধনী যন্ত্রের
Homeজাতীয়আয়ার বেতনে ভাগ বসান উপ-পরিচালক-আড়াই হাজার স্বাক্ষর করে বেতন পান মাত্র এক...

আয়ার বেতনে ভাগ বসান উপ-পরিচালক-আড়াই হাজার স্বাক্ষর করে বেতন পান মাত্র এক হাজার

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের বি আর ডিবি উপ-পরিচালকের কার্যালয়। এখানে রাজস্ব পদ কাজ করেন ৩ জন। প্রকল্পের  ২ জন। এছাড়া মাষ্টাররোলে কাজ করেন এক ঝাড়দার। উপ-পরিচালক অফিসের আয়ার জন্য একটি খরচ রয়েছে। সেখানে একজন আয়া প্রতিনিয়ত কাজ করেন। ঘরঝাড়ু,ঘরমাঝা থেকে শুরু করে সব কাজই তার।এর বিনিময়ে বেতন পান মাত্র এক হাজার টাকা। এভাবেই দীর্ঘদন ধরে চলছে নড়াইলের পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর নড়াইল উপ-পরিচালকের কার্যালয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,২০২০ সালে নড়াইল যোগদানের পরপরই এই অফিসে আয়ার নামে বেতন হয় আড়াই হাজার টাকা,বেতনের সীট এবং চেকে একই পরিমান টাকা উল্লেখ করা হলেও আয়া বেতন হাতে পান মাত্র এক হাজার টাকা। অফিসের এহেন জালিয়াতি টের পেয়ে কাজ ছেড়েছেন চায়না নামের এক আয়া। চায়না বলেন“সুজিত স্যার আসার আগে যারা কাজ করতো তারা পুরা বেতনই পেতো। কাগজে স্বাক্ষর করি আড়াই হাজার আর  হাতে দেয় এক হাজার। একবছর ধরে পুরাটা দেবার কথা বলে আর দেয়নি, রাগে চাকরী ছেড়ে দিয়েছি। এরা গরীব মানুষের টাকাই ভালো খেতে পারে”।
চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় চাকুরীত যোগ দেন মুর্শিদা নামের আরেকজন। প্রাথমিক কথায় একহাজার টাকার কথা বলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। মাস শেষেে বেতনের কাগজে সই করেত গিয়ে দেখেন সেখানে লেখা আছে আড়াই হাজার টাকা। কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে পরের মাসে বেতন বাড়িয়ে দেবার আশ্বাস দেন। ৩ মাস ধরেই আড়াই হাজার টাকার কাগজে স্বাক্ষর করে আসছে সে। চলতি জুলাই মাসেও একই অবস্থায়  একহাজার টাকা বেতন দেয়া হয় গরীব এই গহপরিচারিকা কে।
মুর্শিদা বলেন,এটা কোন ধরনের জালিয়াতি? আমার বেতন আড়াই হাজার অথচ দেয়া হচ্ছে মাত্র এক হাজার টাকা।আমাদের মতো গরীবের টাকা মেরে উনারা শাস্তি পাবেন না। আমি এর বিচার চাই।
অফিসের পিয়নের বিশ্রামের জন্য শোবার একটি মূল্যবান খাটও ছিলো,সেটাও নিজ বাড়িতে নিয়ে গছন উপ-পরিচালক সুজিত,জানালেন অফিসের এক কর্মচারী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই অফিসের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন,এটা উপ-পরিচালকের এখতিয়ার।  অনেক খাত থাকা সত্ত্বেও গরীব মানুষের এই টাকা খাওয়াটা কেউ সমর্থন করেনা।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপ-পরিচালক সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন,বাকি টাকা অন্য আরেকজনকে দেয়া হয়। একটু পর কথা ঘুরিয় বলেন,বাকি টাকা দিয় ট্রয়লেট্রিজ দ্রব্য কেনা হয়। আপনার অফিসে কনটজেন্সি বিল হয় না? এমন প্রশর উত্তর তিনি বলেন,ওটা আমরা তুলি না।
Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
সর্বশেষ খবর
আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here