হাফিজুল নিলু প্রতিনিধি:
সেনা প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন,দীর্ঘ দিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং এই বাহিনীর প্রধান হতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার গায়ের যে ইউনিফরম টি এটি মনে হয় আমার গায়ের চামড়া। আমার শৈশব ও ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শৈশবের এখানে কাটিয়েছি অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে। আমি এখানে আসবো আমার শৈশব সৃতিচারন করতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও লোহাগড়া আমার হৃদয়ে থাকব।
তিনি আরো বলেন, নড়াইলের লোহাগড়ায় বিদায়ী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পৈত্রিকভিটা নড়াইলের করফা গ্রামে ছিলাম। এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যা কখনোই ভোলার নয়। লোহাগড়া, মল্লিকপুর ও করফা এলাকার কথা ভোলা যাবে না। এখানে বাবারও অনেক স্মৃতি রয়েছে। এলাকার জন্য বাবা অনেক কিছু করেছেন। অবসরের পরেও নড়াইলের সন্তান হিসেবে ক্রীড়াঙ্গন, পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের চেষ্টা করব।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়ায় বাবার স্মৃতি বিজড়িত মল্লিক ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদায়ী সেনাপ্রধান।
জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, শিক্ষকতা পেশা আমার খুবই পছন্দের। আমার পিতাও শিক্ষক ছিলেন। আমার মেয়েও শিক্ষকতা করছে মেডিকেল কলেজে। আমার ছোট বোনটাও সহযোগী অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের সন্তান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি একাধিকবার নড়াইলের লোহাগড়ায় সফরে এসে রেললাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জুন নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানি এর পতাকা উত্তোলন শেষে ১৫ জুন শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহম্মেদ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে গমন করেন এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় তিনি ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে তিনি মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।গাছের চারা রোপন শেষে তিনি গাড়ী যোগে মল্লিকপুর ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে গমন করেন। এসময় তাকে ফুল দিয়ে বরন করেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মহাসিন ইসলাম,লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলাম,লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।সেনাপ্রধান সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি,সেনা কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিগন