হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও এখনও জিএম কাদের কেন আটক হচ্ছেন না, এমন প্রশ্ন তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ এ প্রশ্ন উত্তাপন করেন।
আবু হানিফ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত দুজন কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলার পরের দিন জিএম কাদের সংবাদ সম্মেলন করেন। হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও তাকে আটক করছে না।
তিনি বলেন, যেহেতু তিনি হত্যা মামলার আসামি, সেহেতু অবিলম্বে তাকে আটক করতে হবে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান জাতীয় পার্টির। আমরা মনে করি পার্টি মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুও এর দায় এড়াতে পারেন না। তাই আমরা তাকেও আটকের দাবি জানাচ্ছি।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, গত ৬ আগস্ট দেশের সব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আটক, কিন্তু পরে তাকে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার খবর পাওয়া যায়নি। এখন সংবাদ বের হচ্ছে তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। বিমানবন্দরে আটকের পর কীভাবে তিনি পালালেন, গোয়েন্দা সংস্থার কারা, কত টাকার বিনিময়ে তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছে সেটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেনাপ্রধান বলেছিলেন– তাদের হেফাজতে ৬শর বেশি লোক আছে, তারা কারা এবং কোথায় আছে এখন সেটা সেনাপ্রধানকে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।