নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন(৪৫)এর ওপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনার সময় কাউন্সিলরের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও আহত হয়েছেন। আহতদের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল শেখ কে গণধোলাই দিয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। আহত ফারুক হোসেন পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইশারত শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনসহ তার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে ফারুক ও তার স্ত্রী বাড়ির প্রবেশ পথের গেট খুলে তাদের উঠানে থাকা কলাই (ডাল) পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে যায়। এ সময় দূর্বৃত্ত রুবেল শেখ ফারুকের বাড়িতে প্রবেশ করেই অতর্কিত ভাবে ফারুক কে রেঞ্জ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় ফারুকের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন দূর্বৃত্তদের ঠেকাতে গেলে তিনিও হামলার শিকার হন।
হামলার সময় স্বামী এবং স্ত্রী দুজনে মিলে দূর্বৃত্ত রুবেল শেখ (২৪) কে জাপটে ধরে ফেলে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং দূর্বৃত্ত রুবেল কে গণধোলাই দিয়ে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
গণধোলাইয়ের শিকার রুবেল শেখ একই ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে। সে লোহাগড়া হাসপাতালে পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লোহাগড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারুক বুধবার (২০মার্চ) দুপুরে বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় রুবেল শেখ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।