পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগরী গোয়াদারের একটি সরকারি ভবনে আক্রমণ চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে নিহত হয়েছে ছয়জন, যাদের বেশিভাগই নিরাপত্তা-কর্মী। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানে আট হামলাকারীও নিহত হয়। গোয়াদার বন্দরটি পরিচালনা করছে চীন।
বুধবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
দেশটির পদস্থ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং বন্দুকযুদ্ধে আট হামলাকারীর সকলকেই হত্যা করে।
সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেন।
পরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, উগ্রবাদীদের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে তাদের দু’জন সৈন্যও ছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।’
বেআইনি ঘোষিত বালুচ লিবারেশান আর্মি (বিএলএ) গোয়াদার বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই এলাকায় বিকেলে আক্রমণ চালানোর দায় স্বীকার করে। সেখানে অসামরিক ও নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত লোকজনের বাড়িঘর রয়েছে।
সংবাদদাতাদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তাদের কথিত আত্মঘাতী স্কোয়াড, দ্য মজিদ ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছে। তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে অভিহিত করে।
ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাটি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ‘আক্রমণের শুরুতে তারা গাড়িতে আনা বোমা ব্যবহার করার চেষ্টা করে কিন্তু সেটা বিস্ফোরিত হয়নি। আক্রমণকারীরা গ্রেনেড, রকেট নিক্ষেপক এবং স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে ভবনটিতে আক্রমণ চালায়। কিন্তু পাল্টা গুলিতে তারা নিহত হয়।’
সেখানকার অধিবাসী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বহু বিস্ফোরণ ঘটে এবং তারপর অব্যাহত গোলাগুলি চলতে থাকে।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালুচিস্তান প্রদেশে গভীর পানির গোয়াদার বন্দরটি হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত, যা আরব সাগরে তেলবাহী জাহাজ চলাচলের প্রধান পথ।
চীন বন্দরটি নির্মাণ করে এবং সরাসরি তা পরিচালনা করে। এটি চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর বা সিপিইসি নামের মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের দ্বি-পক্ষীয় প্রকল্পের একটি মূল দিক।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
