শৈলকুপা ( ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ
শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট না দেওয়ায় মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ার অপরাধে উভয় গ্রুপের ২০ বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় দুগ্রুপের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন মেম্বারের সাথে একই গ্রামের মাতুব্বর আওয়ামী কর্মী আতিয়ার রহমানের সামাজিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে আতিয়ার রহমান তার সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামী নেতা মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক শিকদারের সাথে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেয়। তার জের ধরে দুগ্রুপের২০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট হয়। এসময় উভয় গ্রুপের জলিল উদ্দিন, পচাঁ মন্ডল,আজব মন্ডল আদেল ও আকুল সহ ৭ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়।আহত ব্যক্তিদের কে চিকিৎসার জন্য শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে আতিয়ার রহমান জানান,আমরা সবাই মুস্তাক শিকদারের সাথে যোগদান করে নৌকা ও মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ার অপরাধ আুবুল হোসেন মেম্বার হুকুম দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের প্রায় ২০ জন ব্যক্তির বাড়ি ঘর ভাংচুর ও প্রায় ১কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে আবুল হোসেন মেম্বারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। আওয়ামী নেতা মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক জানান, আতিয়ার রহমান তার সামাজিক দলের লোকজন নিয়ে আমার সাথে যোগদান করে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ার আপরাধে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পযন্ত কয়েক দফায় হামল চালিয়ে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে। এব্যাপারে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন আমার দলের লোকজনের উপর তারা হামলা করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে উভয় গ্রুপের কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট সহ কয়েকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়। এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মুন্নু জানান আমার মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ার কারনে তাদের উপর মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যানের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।আমি সেখানে যাচ্ছি পরিদর্শন করে বিস্তারিত বলতে পারবো। এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম জানান আমি বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা শুনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।