কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকায় আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি। ডা. প্রাণ গোপালের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলাসহ এ পর্যন্ত মোট ৫টি মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ঢাকা-১৮ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৮৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত তিনশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় রোববার (২৫ আগস্ট) মামলাটি করা হয়। ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সুতিয়াখালী এলাকার মোহাম্মদ নিলু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে তার আপন বড় ভাই মো. নজরুল ইসলাম (৪০) দর্জিকে হত্যার অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ইনিফর্ম টেইলার্সে দর্জি হিসেবে কাজ করতেন। ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।
৫ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচে পৌঁছালে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় নজরুল ইসলাম বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ মামলায় কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা শামীম হোসেন, চান্দিনা উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মনির খন্দকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার, যুবলীগ নেতা মো. শাহজাহান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামিরুল খন্দকার রবি, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন রানা, বাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন চন্দ্র দে, এতবারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন চৌধুরী লিটন, কেরণখাল ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ভূইয়া, দিদার আহম্মেদ ভূইয়া মিঠু, মহিউদ্দিন মেম্বার, ফরহাদ মাস্টার, জালাল মেম্বার, লোকমান হোসেন শাহজাহান, বিল্লাল শেখসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।