ঢাকার উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় বিভিন্ন পাবলিক টয়লেটের ২০ জন ইজারাদারদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং তার টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাবলিক টয়লেট ইজারাদারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ও রবিবার (৮ ডিসেম্বর) পাবলিক টয়লেট ইজারাদারদের দক্ষতা উন্নয়নে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এই উদ্যোগ নিয়েছে।
কর্মশালায় ইজারাদারদের পাবলিক টয়লেট পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পরিচালনা, স্বাস্থ্যসম্মত রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য পাবলিক টয়লেট অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে। পাবলিক টয়লেটের ব্যবহারযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে কী কী উপকরণ ও সুবিধা প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এতে নারীবান্ধব ও সার্বজনীন ব্যবহারোপযোগী টয়লেট ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
ঢাকা শহরে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন কাজে ছুটে বেড়ান—চাকরি, কেনাকাটা বা অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে। এর ওপর বিদ্যমান পাবলিক টয়লেটগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্যবহারযোগ্য বা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা পাবলিক টয়লেটের অভাবে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হন।
গবেষণায় দেখা যায়, অনেক নারী বাইরে যাতায়াতের সময় পানি পান কমিয়ে দেন শুধুমাত্র অনিরাপদ টয়লেট ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতে, যা নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।
ওয়াটারএইডের এডভোকেসি এক্সপার্ট নুরুন নাহার বলেন, উদ্যোগটি স্বাস্থ্য, মর্যাদা এবং স্বস্তির একটি স্বাগতপূর্ণ স্থান তৈরিতে ইজারাদারদের উৎসাহিত করবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী হবে।
ওয়াটারএইডের কে এ আমিন জানান, ইজারাদারদের এই প্রশিক্ষণ শুধু কর্মপ্রক্রিয়া উন্নত করতেই নয়, বরং তাদের সহকর্মী ও টয়লেটের তত্ত্বাবধায়কদের মধ্যেও জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।
ওয়াটারএইডের প্রোগ্রাম লিড বাবুল বালা বলেন, এই ধারাবাহিক কার্যক্রম বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।