এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের ঝড় ছাপিয়েও চট্টগ্রাম-সিলেটের ম্যাচে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন ওপেনার তৌফিক খান। তার পরেও চট্টগ্রামকে হারাতে পারেনি সিলেট। তৌফিকের ৩৬ বলে ৬ ছক্কায় করা ৭৬ রানের ইনিংসের পরও ১২ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম।
কুয়াশার কারণে ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ১৫ ওভারে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে সিলেটের হয়ে লড়াই করেছেন শুধু তৌফিক। তার বিদায়ের পর ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে থেমেছে সিলেট।
গতকাল ব্যর্থ হলেও এদিন ঠিকই ফেরার বার্তা দিয়েছেন তামিম। তাও আবার সেটা করেছেন মাইফলক স্পর্শ করে। চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে পূরণ করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চশতম হাফসেঞ্চুরি। এদিন ৩৩ বলে উপহার দিয়েছেন ৬৫ রানের ইনিংস। তাতে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। ফিফটি পূরণ করেছেন ২৭ বলে। তার ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই ৯ উইকেটে ১৪৫রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তামিম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। তাদের ব্যাটে ৬.৫ ওভারে যোগ হয় ৮০ রান। জয় ১৭ বলে ২৯ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। পরে তামিমের আউটের পর আর ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে থাকা দলটির স্কোর ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে হয়েছে ১৪৫।
এদিকে, খুলনার কাছে অবিশ্বাস্যভাবে ১ রানে হেরেছে বরিশাল বিভাগ। তাদের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৩১ রানের। জবাবে ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে ফেলে বরিশাল। শেষ ওভারে মেহেদী হাসান রানার প্রথম ৩ বলে ৬ রান তুলে ম্যাচটা আরও কাছে নিয়ে আসেন কামরুল ইসলাম ও মঈন খান। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। কিন্তু সাধারণ এই সমীকরণই মেলাতে পারেনি বরিশাল। ৩ রান আউটে ম্যাচটা তারা হেরে যায় ১ রানে!
চতুর্থ ও পঞ্চম ডেলিভারিতে টানা রানআউটে ফেরেন কামরুল ইসলাম, মঈন খান। পরের বলে অবশ্য ওয়াইড দেন রানা। কিন্তু শেষ বলেও রানের তাড়ায় একই ভাগ্য বরণ করেন রুয়েল মিয়া। রানআউটে ফেরেন তিনি। তিনটি আউটেই দারুণ অবদান ছিল খুলনা অধিনায়ক ও উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের।