বাশার আল-আসাদের পতনকে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র চিরতরে ধ্বংস করার এক অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোল শাম্পেইন জানান, ওয়াশিংটন সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) প্রচেষ্টাকে জোরালোভাবে সমর্থন করবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নেদারল্যান্ডের হেগে সিরিয়া ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওপিসিডব্লিউ-এর বৈঠকের আগে রয়টার্সকে এ কথা বলেন নিকোল শাম্পেইন ।
বৈঠকটি বৃহস্পতিবার আড়াইটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে ওপিসিডব্লিউ প্রধান সিরিয়ার রাসায়নিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য তহবিল ও কারিগরি সহায়তার অনুমোদন চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সিরিয়া ২০১৩ সালে মার্কিন-রুশ চুক্তির অধীনে ওপিসিডব্লিউতে যোগ দিয়েছিল ও তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় পরেও সিরিয়ার কাছে নিষিদ্ধ অস্ত্র রয়েছে এবং তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী বারবার এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
শাম্পেইন বলেন, ‘আমরা এখন কাজটি শেষ করতে চাই। এটি সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ওপিসিডব্লিউ এর সঙ্গে কাজ করার একটি সুযোগ।
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি) অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার চেষ্টা করা হবে।’
কারণ সিরিয়ায় অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। আর এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র ‘ভুল হাতে’ পড়ার ঝুঁকি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় ওপিসিডব্লিউ।
কূটনৈতিক সূত্র অনুসারে,তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলো সনাক্ত ও সুরক্ষিত করা, অবশিষ্ট রাসায়নিক ও অস্ত্রের তালিকা তৈরি করা এবং সেগুলো কীভাবে ও কোথায় নিরাপদে ধ্বংস করা যাবে তা নির্ধারণ করা।