গাজার দুটি বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই হামলায় সেখানে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ১৭জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, হামলায় আরও ৩০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
গাজার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয় দুটোতে উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রাণ হারানোদের মধ্যে একটি বিদ্যালয়ে থাকা অন্তত পাঁচজন শিশুও ছিল।
বরাবরের মতো কোনও প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল দাবি করছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো।
গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস হামলা করার জবাবের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের দাবি, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সামরিক ও বেসামরিকদের আলাদা হিসাব না দিলেও, তাদের দাবি, নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইয়েমেনের নাম। হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের একটি বিদ্যালয় ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কয়েক ঘণ্টা বাদেই ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকার বন্দর, তেল ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে গাজা গণহত্যায় জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করে সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল দাবি করছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালাচ্ছে না। তাদের লক্ষ্য কেবল হামাসকে নির্মূল করা। হামাসই বেসামরিকদের মাঝে লুকিয়ে থেকে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।