শুক্রবার, জানুয়ারি ৩, ২০২৫
শিরোনাম:
Homeখেলার খবরহামজা প্রসঙ্গসহ ফুটবল নিয়ে অনেক আশার কথা শোনালেন তাবিথ আউয়াল

হামজা প্রসঙ্গসহ ফুটবল নিয়ে অনেক আশার কথা শোনালেন তাবিথ আউয়াল

- Advertisement -spot_img

হামজা চৌধুরীকে ফিফা ছাড়পত্র দিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনও সমস্যা নেই ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের। নতুন বছরের মার্চে তাকে লাল-সবুজ দলে খেলানো নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে। হামজার বাংলাদেশ দলে খেলা। দেশের ফুটবলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎসহ নানান দিক নিয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আজ সকালে তার গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।

হামজা চৌধুরীর মতো অন্যরাও আসবে

‘আশা করছি হামজা চৌধুরীর মতো অন্য প্রবাসী যারা খেলছেন, তাদের আরও চিহ্নিত করে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারবো। এ ছাড়া বাফুফে চেষ্টা করবে খেলোয়াড়দের নিয়ে নানান তথ্য দিতে।’

বিষয়টিকে ফুটবলাররা কীভাবে নিচ্ছেন

‘আমরা সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। রানিং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে জোরালোভাবে সাড়া পাচ্ছি। তারাও চাইছেন ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে। যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী গঠন করে ভালো ফুটবল খেলা যায়, পরিবেশ তৈরি হয়। সাফল্য পাওয়া যায়। শুধু তারাই দেশের হয়ে খেলবেন তা নয়, লোকাল খেলোয়াড়রাও বিদেশিদের (হামজা) মাধ্যমে বাইরে খেলার সুযোগ পাবেন। এটাও হতে পারে।’

আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া

‘অতীতে এসেছিলেন জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজী। অন্য লিগ থেকে। তারা ধাপে ধাপে এখানে পরিচিত হয়েছেন। তাদের দেখে আমরা হামজা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি। এটি আমাদের অর্জন। তাকে পেয়েছি। টপ খেলোয়াড় সে। এখন তাকে কীভাবে খেলাবো তা জাতীয় টিমস কমিটি দেখবে। এ ছাড়া কোচের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।’

হামজার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে

‘হামজার সঙ্গে বাফুফের দেড় বছর ধরে কথা চলছে। তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি। তবে সামনের দিকে সরাসরি বসবো। প্রস্তুতি নিচ্ছি এরই মধ্যে আরও দুয়েকজন খেলোয়াড় পাওয়া যায় কিনা। সব প্রস্তুতি নিয়ে হামজার সঙ্গে বসার চিন্তা করছি।’

হামজার বাংলাদেশ দলে মানিয়ে নেওয়া

‘পেশাদার ফুটবলারদের সামর্থ্য আছে সব জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার। আমাদের খেলোয়াড়দেরও তা আছে। বিদেশেও যারা খেলেন তাদেরও সেই সামর্থ্য আছে। আসলে দেখার বিষয়, যেখানে খেলবো সেই ভেনুতে, সেখানে মানিয়ে নিতে পারেন কিনা। বিশেষ করে অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে কীভাবে মানিয়ে নেবেন সেটি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। কাজ করবো।’

হামজাকে নিয়ে ব্র্যান্ডিং

‘আমরা অবশ্যই খুশি। হামজার মতো খেলোয়াড় কিংবা সামনে যারা খেলবেন দেশে, তারা মান বাড়াবেন। আপাতত ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে চিন্তা করছি না। উইনিং স্পিরিট নিয়ে ভাবছি। কম গোলে হারের চিন্তা থেকে জেতার মানসিকতায় যেতে চাই। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। সবাইকে নিয়ে ব্র্যান্ডভ্যালু তৈরি করতে হবে। এই যেমন নারী দলের স্পন্সর নিয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই তা আপনাদের জানাতে পারবো।’

বাংলাদেশে দলে নতুন কোচ নিয়ে

‘এ নিয়ে মানে নতুন বা পুরনো কোচ নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি আছে বর্তমান কোচের। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন মৌসুমের কোচ নিয়ে কথা বলবো। সিদ্ধান্ত যা হোক, তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কোচের পারফরম্যান্স বিবেচনা করার মূল্যায়ন এখনও আসেনি। আমি অল্পদিন হলো এসেছি। সব ডাটা নেওয়া হচ্ছে।’

হামজা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা

‘অনেক আশা। দল অনেক শক্তিশালী হবে। ডিফেন্স অর্গানাইজ হবে আরও। পাশাপাশি অ্যাটাকিং সাইডও ভালো হতে হবে।  আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অনেক মেধা আছে। দেশের বাইরে, ইতালিয়ান, জার্মানি কিংবা দক্ষিণ আমেরিকান যারাই আছেন– আমি বিশ্বাস করি হামজা তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার জন্য।’

হামজা ভারতের বিপক্ষে খেলবে?

‘কোনও তথ্য আপাতত নেই। এখনও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না। তবে  এএফসি এশিয়ান কাপ নিয়ে আমরা প্ল্যানিং করছি। এর আগে বাংলাদেশের প্রীতি ম্যাচ ক্লোজড ডোর হবে। ভিডিও বা অন্য কিছুর জন্য বাইরের কাউকে অ্যালাউ করতে দেবো না। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব থেকে একটি দল যাবে গ্রুপ সেরা হয়ে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রথম ম্যাচ ভালো করতে পারলে গ্রুপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ থাকবে।

‘২৫ জানুয়ারি প্রিমিয়ার লিগ শেষ হবে। তারপর চার সপ্তাহ জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। এরই মধ্যে কার সঙ্গে খেলবো, কবে খেলবো, কবে যাবো ভারতে– তা আরও একটু সময় নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

ঘরোয়া ফুটবলের মাঠ নিয়ে

‘আমাদের বর্তমানে অতিরিক্ত তিনটা স্টেডিয়াম আছে। স্বীকার করতে হচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত নয়। দুর্ভাগ্যবশত লিগ শুরুর দুএকদিন আগে মাঠ পেয়েছি। নিয়মিত ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমি আমার হতাশা ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি। এভাবে মাঠ দিয়ে আবার একদিনের জন্য ফেরত নিতে চাইছে।

‘আসলে মাঠ সংস্কার কিংবা ঠিক রাখা বাফুফের দায়িত্ব। তবে মাঠ নষ্ট করার দায়িত্ব তো অন্য কারও নয়। আমরা শুধু মাঠ নয়, সমর্থকদের জন্যও চিন্তিত। যেন দর্শকরা মাঠে গিয়ে ভালো পরিবেশ পান। বাথরুম, গ্যালারি, ফ্লাডলাইটসহ সব যেন ঠিক থাকে। একবার বরাদ্দ দিয়ে যেন নিয়ে না নেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদে মাঠ পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের মাঠটির আশায় আছি শিগগিরই পাওয়া যাবে।

‘ঢাকার (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) মাঠে মার্চের আগে ফ্লাডলাইট পাওয়া যাবে না। তবে খেলোয়াড়দের কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা এসব (গাজীপুর, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জ) মাঠে খেলছেন। সঙ্গে দর্শকদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা মাঠে এসে খেলা দেখছে।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here