মোটরসাইকেল বহর ও কারসহ অন্য কোনও যানবাহনে শোভাযাত্রা না করতে বিএনপির নির্দেশনা থাকলেও তা মানতে নেতাকর্মীদের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন, মোটরবাইক শোডাউন অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে এমন শোডাউনের খবর পাওয়া গেছে।
দলীয়সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হওয়ায় শোডাউন করেন হারুনুর রশিদ। তিনি এই এলাকায় নির্বাচনে আগ্রহী।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শোডাউন করেছেন হারুনুর রশিদ।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তৃণমূল পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়ে শোডাউন বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিএনপি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই চিঠিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশে বলা হয়, ‘আপনাদের অধীনস্থ কোনও ইউনিটে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্যে সফরকালে কোনও মোটরসাইকেল বহর ও কারসহ অন্য কোনও যানবাহনে শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে। এসব শোভাযাত্রার কারণে পাশ দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষের যানবাহন বা পথচারীদের যাতায়াতে ভয়ানক বিঘ্ন ঘটে।’
হারুনুর রশীদের একাধিক অনুসারী দাবি করেন, মূলত শোডাউনের কোনও পরিকল্পনা তাদের ছিল না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের নিজ এলাকায় গমন উপলক্ষে অনুসারীরা উপস্থিত হয়।
বিএনপির দফতরসূত্র জানায়, বিগত কয়েক মাসে এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীদেরকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কেবল অক্টোবরের মধ্যেই ১ হাজার ২৩ জন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫২৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ৪৩৭ জনকে বহিষ্কার, ২৪ জনের পদ স্থগিত, ৩৫ জনকে সতর্ক এবং ৪ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়।