অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বার্সেলোনার কাছ থেকে শীর্ষস্থান কেড়ে নিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাতালান জায়ান্টদের আরও অবনতি হলো। রবিবার লা লিগায় সেভিয়াকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বার্সেলোনাকে পেছনে ফেললো রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয় ছাপিয়ে আলোচনায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার দারুণ নৈপুণ্যেই মূলত বড় জয় পেয়েছে মাদ্রিদ ক্লাব।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দশম মিনিটে চমৎকার এক গোলে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ব্রাহিম দিয়াজ বল পায়ে রেখে কিছুটা সামনে গিয়ে রদ্রিগোর দিকে বাড়ান। তার পাসে ছোট ডি বক্সের সামনে থেকে রকেট গতির শটে জাল কাঁপান ফরাসি তারকা।
সাত মিনিট পর লুকাস ভাসকেস বক্সের মধ্যে এমবাপ্পেকে খুঁজে পান। কিন্তু রিয়ালের গোলদাতা ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
রিয়াল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ২০ মিনিটে। কর্নারে ছোট শট নেয় তারা, তারপর কয়েকবার পাস অদলবদল করে খুঁজে পায় ফেদে ভালভার্দেকে। তার ভাসিয়ে দেওয়া শট ডাইভ দেওয়া গোলকিপার আলভারো ফার্নান্দেজের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে জড়ায়।
রিয়াল প্রথমার্ধেই তৃতীয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ৩৪ মিনিটে দলগত প্রচেষ্টায় ব্যবধান বাড়ায় তারা। জুড বেলিংহ্যাম পাস দেন ভাসকেসকে। তিনি দিয়াজের সঙ্গে ওয়ান টু পাসের পর কাট করে রদ্রিগোকে ফিরিয়ে দেন বল। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে জালে বল জড়াতে বেগ পেতে হয়নি।
পরের মিনিটে আইজ্যাক রোমেরো হেড করে একটি গোল শোধ দেন। ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগিয়ে বিরতিতে যায় সেভিয়া।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চতুর্থ গোল খায় অতিথিরা। মুগ্ধতা ছড়ান এমবাপ্পে। কয়েকজন ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বল পায়ে রাখেন তিনি। তারপর বক্সের ডানপ্রান্তে ভাসকেসকে পাস দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। সতীর্থের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে বক্সের মধ্যে পাঠান তিনি। এমবাপ্পের নজর কাড়া প্রচেষ্টা বিফলে যেতে দেননি ব্রাহিম দিয়াজ, প্রথম শটেই স্কোর ৪-১ করেন।
৮৩ মিনিটে মাদ্রিদ কিপার থিবো কোর্তোয়া ডাইভ করে সাম্বি লোকোঙ্গার নিচু ড্রাইভ থামান। তবে দুই মিনিট পর তারা ব্যবধান দুইয়ে নামিয়ে আনে। দদি লুকেবাকিওর নিচু শট কোর্তোয়ার কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
রিয়াল এই ম্যাচ জিতে দুই নম্বরে উঠে গেছে। ১৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪০। শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের (৪১) চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে কার্লো আনচেলত্তির দল। আগের দিন অ্যাটলেটিকোর কাছে হারা বার্সেলোনা দুই থেকে তিনে নেমে গেছে। দুই ক্লাবের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে তাদের পয়েন্ট ৩৭।