হরতালে বাস পোড়ানো ও নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৮৪ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নাশকতার পৃথক তিন মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ রায় দেন। আলতাফ চৌধুরীর আইনজীবী আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেজর অব. হাফিজ ও আলতাফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় মোট ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন— আউয়াল খান, গাজী খায়রুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন, জালাল শিকদার, মো. লিটন, ইব্রাহিম খালেদ মোর্শেদ ও জসিম উদ্দিন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৬ জুন রাতে রাজধানীর গুলশান থানা এলাকায় হরতালের সমর্থনে একদল নাশকতাকারী একটি বাসে আগুন দেয়। এ ঘটনায় বাস মালিক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে গুলশান থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। আগুনে বাসটির ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়৷ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে মেজর অব. হাফিজ ও আলতাফ হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত।
এদিন (সোমবার) একই আদালত ৯ বছর আগে করা নাশকতার আরেকটি মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ বিশ্বাস বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলাটি করেন৷
তাছাড়া একই সময় একই আদালত ১১ বছর আগে করা যাত্রাবাড়ী থানার আরেক মামলায় বিএনপি জামায়াতের ৬৮ জনকে খালাস দিয়েছেন। মামলাটির সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার অভিযোগে এ মামলা করেন।