সিরিয়ার সব বিদ্রোহী দলকে বিলুপ্ত করে সেগুলোকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একত্রিত করতে সম্মত হয়েছেন দেশটির বর্তমান নেতা আহমেদ আল-শারা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাবেক বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে আল-শারা এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির বলেছিলেন, আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ও কর্মকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন করা হবে।
এখন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানোর গুরু দায়িত্ব বর্তাবে আল-শারার কাঁধে।
দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মুরহাফ আবু কাসরাকে নিয়োগ দিয়েছেন সিরিয়ার নতুন শাসকরা। বাশারের পতনের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন ছিলেন তিনি।
সিরিয়ার জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলিম কুর্দি ও শিয়া, সিরিয়াক, গ্রিক ও আর্মেনীয় অর্থডক্স খ্রিস্টান এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্য রয়েছেন। গৃহযুদ্ধের সময়ে ভবিষ্যৎ সুন্নি ইসলামি শাসন নিয়ে সবসময় শঙ্কায় ছিলেন তারা।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে অবশ্য আল-শারা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, সাবেক সরকারের সদস্যদের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ বা কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দমনের পদক্ষেপ নেবে না তারা। তিনি আল কায়েদার সাবেক সহযোগী সংগঠন ও আসাদকে উৎখাতকারী প্রধান গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল- শামের প্রধান।
সিরীয় বিদ্রোহীরা ৮ ডিসেম্বর দামেস্কে প্রবেশ করে প্রায় অর্ধশতাব্দীর পারিবারিক শাসন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের আপাত অবসান ঘটায়।