বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখন আক্ষরিক অর্থে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে থাকলেও ভাবনার দিক দিয়ে মনে হয় ব্যবধান ঘটে গেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কে ফার্স্ট হবে, কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে– এমন একটি দখলদারত্বের মনোভাব কারও কারও মধ্যে আমরা লক্ষ্য করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের কথাবার্তা, আচরণেও মনে হয়, শেখ হাসিনা যাওয়াই যথেষ্ট না; বিএনপি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। বৈষম্যের আড়ালে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা আমার মনে হয় চলমান। দৃশ্যমান শত্রুকে মোকাবিলা করা সহজ, কিন্তু অদৃশ্য শত্রুকে শনাক্ত করা এবং তারপর মোকাবিলা করতে হয়। আমরা কিন্তু এখনও কোনোটাই শনাক্ত করতে পারিনি। শুধু অনুমান করছি, একটা কিছু ঘটছে, একটা কিছু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে দুর্বল করতে চাই না। আমরা চাই, তারা সফলভাবে একটি নির্বাচন করুক, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এই সহযোগিতাকে কেউ যদি দুর্বলতা ভাবে অথবা এর আড়ালে যদি কোনও দুষ্টগ্রহের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ব্যহত হয় এবং জনগণের যে মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা সেই বিষয়ে যদি অসন্তোষজনক কিছু দেখি, তখন আমরা চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারবো না। আমাদের রাস্তায় নামতেই হবে।’
বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়ের ঘটতি আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যার যার অবস্থান থেকে কথা বলছেন। কিন্তু সরকারের যে কথা, সরকারের মুখ থেকে প্রতিধ্বনিত হবে তেমনটা আমার কাছে মনে হচ্ছে না। সব উপদেষ্টা যে সমগুরুত্বপূর্ণ সেটাও মনে হয় না। প্রধান উপদেষ্টাকে শক্তিশালী মনে হয়েছে এক সময়, এখন মনে হয় না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জাতি যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়, তাহলে যেকোনও আগ্রাসী শক্তি শোষণ করতে পারে। যেটা সর্বশেষ ছিল ভারত। আওয়ামী সেই অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছিল।’
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।