বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজামান দুদু বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত (৫৩ বছর) ভারত আমাদের বন্ধুত্বকে তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সমবায় দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ভারতের আগ্রাসনে দেশজুড়ে শেখ হাসিনার অরাজকতার’ প্রতিবাদে এ সমাবেশ করা হয়।
শামসুজামান দুদু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পর তৎকালীন নতুন বাংলাদেশে লুটপাট করেছিল ভারতের সেনাবাহিনী এবং তাদের জনগণ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্বিচারে শেখ হাসিনা যেমন লুটপাট করেছে, তেমনই সে সময় ভারতও বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে। সেই সময় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের কাছে থেকে যে অস্ত্র পেয়েছিল, সেই অস্ত্র তারা ট্রাকে ভরে ভারতে নিয়ে যায়। সেই সময় রাশিয়ান কয়েকটি এসএলআর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র সেই সময় আমাদের বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধু নামধারী দেশটি সদ্য স্বাধীন দেশের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিল, সেই একই ব্যবহার আমরা এই ডিসেম্বরেও লক্ষ্য করছি। শেখ হাসিনার পতনকে ভারত আজ পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারেনি।’
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটু হুঁশে আসুন। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হলো একটি নির্বাচিত সরকার। সেই নির্বাচিত সরকার যতক্ষণ না আসবে গণঅভ্যুত্থান তার মর্যাদা হারাবে। যদি সেই মর্যাদা ধরে রাখতে হয়, তাহলে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সংকট কাটাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, যারা এই মুহূর্তে নির্বাচন চাইবে তারা গণশত্রু। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের একটা সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।’
সমাবেশে আরও ছিলেন– বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো.রতন মিয়া প্রমুখ।