শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
Homeআর্ন্তজাতিকআবারও কর্তৃপক্ষের তলব উপেক্ষা করলেন ইউন  

আবারও কর্তৃপক্ষের তলব উপেক্ষা করলেন ইউন  

- Advertisement -spot_img

টানা দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ ও প্রসিকিউটরদের তলবে সাড়া দিলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তকারী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে বড়দিনের সকালে (২৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহের মতো এবারও তাদের তলব উপেক্ষা করেছেন ইউন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ইউনের জন্য বুধবার আরও কিছুসময় অপেক্ষা করবেন তারা। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চাইলেও দায়েরকৃত মামলাটি আরও পর্যালোচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

চলতি মাসের শুরুতে দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। অবশ্য বিরোধী দলের চাপের মুখে সেটি কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। তার স্বল্প সময়ের জন্য ঘোষিত সামরিক শাসনে দেশদ্রোহিতার উপাদান রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি বিরোধী কর্তৃপক্ষ।  

ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৫ তারিখেও ইউনকে একবার তলব করা হয়েছিল। সে ডাকেও সাড়া দেননি তিনি। 

কর্তৃপক্ষের তলব উপেক্ষা করে অনুপস্থিত থাকায় ইউনের বিরুদ্ধে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতে তিনি আলামত নষ্টের চেষ্টা করতে পারেন আশঙ্কা করে ইয়ুনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিরোধীদল।  

সামরিক আইন জারির চারদিন পর ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন ইউন। ভাষণে তিনি দাবি করেছিলেন, কৃতকর্মের জন্য আইনি ও রাজনৈতিক দায় এড়াবেন না তিনি। 

সামরিক আইন জারির প্রতিক্রিয়ায় তাকে ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত করে পার্লামেন্ট। এখন তার জন্য ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে হয় স্থায়ীভাবে অপসারণ বা পদে পুনর্বহাল- যা নির্ধারিত হবে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তে। 

ইউন কোনও রাষ্ট্রদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার অথবা অন্য কোনও অপরাধ করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে প্রসিকিউটর, পুলিশ ও দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয়। সাধারণত রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা কিছু বিষয়ে সাংবিধানিক দায়মুক্তি পেলেও, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টের এই সুবিধা ভোগের সুযোগ থাকে না। 

ইউনের এক আইনজীবী বলেছেন, সামরিক আইন ঘোষণা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সশরীরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য পেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন ইউন সুক ইওল। 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here