বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Homeআর্ন্তজাতিকসিরিয়ায় ক্রিসমাস গাছে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

সিরিয়ায় ক্রিসমাস গাছে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

- Advertisement -spot_img

সিরিয়ায় ক্রিসমাস গাছে আগুন ধরানোকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজধানী দামেস্কের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জনসম্মুখে রাখা একটি গাছে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আন্দোলনে নেমেছেন মানুষ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।  

দেশটির হামা শহরের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত সুকাইলাবিয়াহ শহরের একটি গাছে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অনলাইনের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি। 

এ ঘটনার পর প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নাম না জানা এক বিদ্রোহী বলেছেন, পরদিন সকালেই ওখানে গাছটি পুনঃস্থাপন করা হবে। ভিডিও বার্তায় ওই বিদ্রোহীকে কয়েকজন পাদ্রির সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট আসাদকে উৎখাতের কিছুদিন পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সিরিয়ার খ্রিস্টানরা এখন লেবানন ও ফিলিস্তিনের খ্রিস্টানদের মতো বড় ধরনের অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের মধ্যে বড়োদিন উদ্‌যাপন করছেন।

সিএনএনকে জর্জ নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা সুরক্ষার দাবিতে রাজধানীর গির্জার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করেছেন। 

বিদ্রোহীরা যখন সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের মধ্য দিয়ে অভিযান চালিয়ে আসাদের পতন ঘটায়, তখন খ্রিস্টানদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তাদের গির্জা ও সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে। আসাদের আমলে খ্রিস্টানরা আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারতেন। তবে অন্যান্য সব সিরীয়দের মতোই তাদের বাক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা ছিল।

বর্তমানে সিরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) কর্তৃত্ব রয়েছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আহমদ আল-শারা। আল কায়েদার সাবেক সহযোগী এই সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। তখন থেকেই আল কায়েদার সঙ্গে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে দাবি করে আসছে। 

আল-শারা একাধিকবার দাবি করেছেন যে, সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এইচটিএস। তবে তিনি এখনও বড়দিনের আগে খ্রিস্টানদের সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে কিছু ঘোষণা করেননি। অবশ্য এইচটিএস নেতৃত্বাধীন শাসকদল জানিয়েছে, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সিরিয়ায় সাধারণ ছুটি থাকবে।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, কোনও উৎসব বা প্রার্থনায় এখনও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি এইচটিএস। তবে খ্রিস্টানরা আশঙ্কা করছেন যে, এইচটিএসের বাইরের বিপথগামী সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।

 

 

 

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here