চট্টগ্রাম আবাহনী যে দলের সামনে পড়ুক না কেন, খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে। তা প্রিমিয়ার লিগ কিংবা ফেডারেশন কাপ যে মঞ্চেই হোক। আজ মঙ্গলবার তো ফেডারেশন কাপে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের কাছে উড়ে গেছে বন্দরনগরীর দলটি। আলফাজ আহমেদের দল তাদেরকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে।
কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচের পুরো সময়জুড়ে ছিল মোহামেডানের আধিপত্য। গোলও হয়েছে সেভাবেই। যদিও প্রথমার্ধে মাত্র দুটি গোল এসেছে।
১০ মিনিটে প্রথম গোছালো আক্রমণ থেকে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন ইমানুয়েল সানডে। বক্সে আরিফের পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটলার ভেতর থেকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
চার মিনিট পর দারুণ আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় মোহামেডান। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন আরিফ। গোলকিপারকে একা পেয়েও শট না নিয়ে তিনি পাস দেন ডানে অরক্ষিত দিয়াবাতেকে। ফাঁকা পোস্টে আলতো টোকায় বল পাঠিয়ে দেন মালির স্ট্রাইকার।
৪০ মিনিটে অবিশ্বাস্য মিস করেন দিয়াবাতে। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জিসানের ক্রসে গোলকিপার স্লাইড করায় ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে পারেননি আরিফ। বল গোলকিপারের গায়ে লেগে চলে যায় দিয়াবাতের পায়ে। গোলমুখ থেকে উড়িয়ে মারেন তিনি!
এর একটু পরই দিয়াবাতেকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ চিকিৎসা নেওয়ার পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন মোহামেডান অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্দে সাদা-কালোরা দ্বিগুণ উদ্যোমে খেলতে থাকে। গোলও এসেছে একের পর এক। যদিও শুরুতেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান দিক থেকে আসা ক্রস ফিস্ট করে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি গোলকিপার সুজন। তৌহিদুল আলম সবুজের টোকায় বল পোস্টে ভেতরের দিকে লাগার পর গোললাইন থেকে ফেরান রিয়াদুল হাসান রাফি।
৫২ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় মোহামেডান। রাফির থ্রো ইনের পর জিসানের আড়াআড়ি ক্রসে ছুটে গিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আরিফ। ৬৮ মিনিটে সতীর্থের লং পাস ধরে বক্সে ঢুকে নিখুঁত টোকায় স্কোরলাইন ৪-০ করেন জিসান।
৭৭তম মিনিটে আরিফের ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন সৌরভ দেওয়ান। এই গোলের রেশ থাকতেই বদলি নামা জুয়েল মিয়া ষষ্ঠ গোল করে মোহামেডানকে বড় ব্যবধানে জিততে সহায়তা করেন। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়েছে সাদা-কালোরা। চট্টগ্রামের দলটি এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি।