সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি ইরানকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানানোর পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক হবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আরাকচি বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য এই মুহূর্ত খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আমাদের এবং অন্যদের, যারা মনে করছে সিরিয়ায় জয়লাভ হয়েছে, তাদের জন্যও।
আসাদ হাসান আল-শিবানি ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর জন্য তাদের দায়ী করা হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, কোন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।
সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের ইরানি মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সিরিয়ার অবস্থান ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে কী হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে বলে আরাকচি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন, সিরিয়ার যুবকরা তাদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেবে এবং ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান বাশার আল-আসাদ সরকারের পক্ষে রাশিয়ার সহায়তায় বিশাল অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে ইরান-নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সড়ক পথ হারিয়েছে।
খামেনি উল্লেখ করেছেন, ১৯৮০-এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় সিরিয়ার সহযোগিতা ইরানের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তাই ইরান এই ঋণ শোধ করতে চেয়েছিল।
তবে, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব ইরানকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে বলে অজ্ঞাত সূত্র জানিয়েছে।