ভিসা না থাকা অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আজ সোমবার পাসপোর্ট অধিদপ্তর পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে অনেক বিদেশি আছেন, যাঁদের কোনো ভিসা নেই। তাঁদের অনেকেই চাকরিও করছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভিসা না নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তর একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সেবার মান যেন আরও বাড়ে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আগের চেয়ে দুর্নীতি কমেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে আগে যে পরিমাণ দুর্নীতি হতো, এই ডিজি (মহাপরিচালক) আসার পর অনেকটা কমেছে। এটি আরও কমিয়ে আনতে হবে। এখনো পাসপোর্ট পেতে লোকজনকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এটা কীভাবে আরও কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে এখানে আলাপ হয়েছে।’
অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন, অপকর্ম করছেন—এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একসময় চিন্তা করছিলাম, পুলিশ ভেরিফিকেশন (যাচাই–বাছাই) উঠিয়ে দেব। শুধু এনআইডি কার্ডের ওপর (পাসপোর্ট) দেব। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে জনগণের একটু হ্যারাসমেন্ট হয়, (পাসপোর্ট) পাইতে দেরি হয়, এই হয়, সেই হয়। পুলিশের সংখ্যাও অনেক সময় কম থাকে। বাট রোহিঙ্গা যে সমস্যাটার কথা বললেন, এই জন্য এই জিনিসটা (পুলিশ ভেরিফিকেশন) ওঠানো যাচ্ছে না। পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকছে নাকি থাকছে না, এখনই এ ব্যাপারে বলতে পারব না। বাট যদি দেখা যায় যে শুধু আইডি কার্ড দিয়ে পারা যায়, তাহলে হয়তো পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেব।’
অনেক প্রবাসী আবেদন করেও এমআরপি পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এমআরপি বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলো সরবরাহ করা যায়নি। এ ব্যাপারে পাসপোর্টের ডিজি কথা বলছেন। পাসপোর্টগুলো যেন দ্রুত সরবরাহ করা হয়, সেটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।