বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
Homeবিনোদনএ আর রহমানের সম্পদের পরিমাণ কত, গাড়ি কয়টি

এ আর রহমানের সম্পদের পরিমাণ কত, গাড়ি কয়টি

- Advertisement -spot_img

১৯৯২ সাল। তামিল পরিচালক মণিরত্নম তাঁর ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনার ভার কাকে দেওয়া যায়, ভাবছেন। কফির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলসে সুর দিয়ে ২৫ বছর বয়সী একটি ছেলে তখন নজর কেড়েছেন অনেকের। মণিরত্নমের মাথায় খেলে গেল। যে ভাবা, সেই কাজ। ছেলেটিকে ডেকে তাঁর হাতে তুলে দিলেন ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনার ভার। ‘রোজা’ তামিল ভাষার ছবি হলেও পরবর্তী সময়ে হিন্দিতে ডাব করা হয়েছিল। তামিল, হিন্দি—দুই ভাষাতেই ‘রোজা’র প্রায় সব কটি গান শ্রোতাদের মন জিতে নেয়। রাতারাতি তারকা বনে যান ২৫ বছর বয়সী যুবক। শুধু তা-ই নয়, জীবনের প্রথম ছবিতে সংগীত পরিচালনার জন্য জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার।

এই তরুণ আর কেউ নন, পৃথিবী–প্রসিদ্ধ গায়ক এ আর রহমান। সেদিনের ২৫ বছর বয়সী যুবক এ আর রহমান আজ ৫৮ বছরে পা দিলেন। ভারতীয় এই সংগীতজ্ঞ সংগীত নিয়েই পৌঁছেছেন বিশ্বমঞ্চে।

ফলো করুন

এ আর রহমান। ফাইল ছবি

এ আর রহমান। ফাইল ছবি

১৯৯২ সাল। তামিল পরিচালক মণিরত্নম তাঁর ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনার ভার কাকে দেওয়া যায়, ভাবছেন। কফির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলসে সুর দিয়ে ২৫ বছর বয়সী একটি ছেলে তখন নজর কেড়েছেন অনেকের। মণিরত্নমের মাথায় খেলে গেল। যে ভাবা, সেই কাজ। ছেলেটিকে ডেকে তাঁর হাতে তুলে দিলেন ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনার ভার। ‘রোজা’ তামিল ভাষার ছবি হলেও পরবর্তী সময়ে হিন্দিতে ডাব করা হয়েছিল। তামিল, হিন্দি—দুই ভাষাতেই ‘রোজা’র প্রায় সব কটি গান শ্রোতাদের মন জিতে নেয়। রাতারাতি তারকা বনে যান ২৫ বছর বয়সী যুবক। শুধু তা-ই নয়, জীবনের প্রথম ছবিতে সংগীত পরিচালনার জন্য জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার।

এই তরুণ আর কেউ নন, পৃথিবী–প্রসিদ্ধ গায়ক এ আর রহমান। সেদিনের ২৫ বছর বয়সী যুবক এ আর রহমান আজ ৫৮ বছরে পা দিলেন। ভারতীয় এই সংগীতজ্ঞ সংগীত নিয়েই পৌঁছেছেন বিশ্বমঞ্চে।

 

 

 

আরও পড়ুন

‘হিন্দি নয়, তামিল বলো’, স্ত্রীকে এ আর রহমান

২৬ এপ্রিল ২০২৩

‘হিন্দি নয়, তামিল বলো’, স্ত্রীকে এ আর রহমান

তাঁর প্রাপ্তির ঝুলিতে কী নেই? গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, বাফটা, গোল্ডেন গ্লোবস থেকে শুরু করে রয়েছে দু-দুটি অস্কার। ছয়-ছয়বার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। বিশ্বের আনাচকানাচে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত ও অনুসারী।

প্রাপ্তির পাশাপাশি বিতর্কও ছুঁয়েছে এ আর রহমানকে। সুর বিকৃতি থেকে নানা অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ২৯ বছরের সংসার ভাঙার খবরের কথাও উঠে এসেছে শিরোনামে। বিতর্ক, ভালো-মন্দ নিয়েই জীবন। ভক্ত-অনুসারীরাও মেনে নিয়েছেন। তর্কবিতর্ক ও সমালোচনার জন্য জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি তাঁর। গান দিয়েই শ্রোতাদের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। গতকাল ৬ জানুয়ারি ছিল প্রতিভাবান এই শিল্পীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে তাঁর বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি থেকে শুরু করে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক।

গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, বাফটা, গোল্ডেন গ্লোবসের মতো পুরস্কারগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করছেন এ আর রহমান? মা বেঁচে থাকতে আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলো তোয়ালের মধ্যে মুড়িয়ে রাখতেন। এভাবে রাখার কারণ? হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রে জানা যায়, ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানিয়েছিলেন, তাঁর মা ভাবতেন পুরস্কারগুলো সব সোনার তৈরি। আর এ ভাবনা থেকেই পুরস্কারগুলো তিনি তোয়ালের মধ্যে মুড়িয়ে রাখতেন। তবে মায়ের মৃত্যুর পর পুরস্কারগুলো দুবাইয়ের একটি স্টুডিওতে রেখে দিয়েছেন রহমান। একটি সুন্দর শোকেসে সেগুলো সাজানো আছে।

ভারতের পুরুষ সংগীতশিল্পীদের মধ্যে সম্পদের হিসাবে এ আর রহমান কততম? আনন্দবাজার অনলাইনের খবর, ভারতের পুরুষ সংগীতশিল্পীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো।

পৃথিবীর নানা প্রান্তে তাঁর সম্পদ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। তার মধ্যে চেন্নাইয়ের বাড়িটির কথা উল্লেখ করার মতো। এ বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় কক্ষটি পরিচিত বিনোদনকক্ষ নামে। বাড়িতে থাকলে এ ঘরে বসেই বাদ্যযন্ত্রে সংগত করেন রহমান। লস অ্যাঞ্জেলেসেও তাঁর একটি আকর্ষণীয় বাড়ি রয়েছে। যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি স্টুডিও তৈরি করেছেন তিনি। এ ছাড়া মুম্বাই ও লন্ডনেও এ আর রহমানের নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে।

এ আর রহমানের গাড়ির সংগ্রহও কিন্তু চোখধাঁধানো। ৯৩ দশমিক ৮৭ লাখ থেকে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত দামের বেশ কয়েকটি গাড়ি সংগ্রহে রয়েছে এই শিল্পীর।

১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান এ আর রহমান জন্মেছিলেন এ এস দিলীপ কুমার নামে। ১৯৮৮ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। দিলীপ থেকে হয়ে যান এ আর রহমান।

বাবা তামিল সংগীত পরিচালক আর কে শেখর এবং মা গৃহবধূ কস্তুরি দেবী। বাবা সংগীত পরিচালক হলেও বাবার কাছ থেকে সংগীতে শিক্ষা নেওয়ার খুব বেশি সুযোগ পাননি। মাত্র ৯ বছর বয়সে ১৯৭৬ সালে বাবা না–ফেরার দেশে পাড়ি দেন। পরে মাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে তাঁর জীবন। পরিবারের অভাব-অনটন কাটাতে ১১ বছর বয়সে অর্কেস্ট্রার দলের সঙ্গে কি-বোর্ড বাজাতে শুরু করেন রহমান। কাঁধে তুলে নেন পুরো পরিবারের দায়িত্ব। অনেক লড়াই–সংগ্রাম করেই তিনি পৌঁছেছেন বিশ্বমঞ্চে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলা তাঁর একটি কথা দিয়ে এ লেখা শেষ করি। গানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিল্পী বলেছিলেন, ‘আমার জন্ম হয়েছে গানের জন্য। আমি গানের জন্যই বেঁচে আছি এবং শেষ পর্যন্ত গানের জন্যই বেঁচে থাকব।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here