ঢাকা ক্যাপিটালস নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশিই ছিল। সে কৃতিত্ব অবশ্য কোনো ক্রিকেটারের নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সুপারস্টার শাকিব খানের। বাংলাদেশের চলচিত্র জগতের এই তারকা উপস্থিত ছিলেন প্লেয়ার্স ড্রাফটেও।
বারবার এই দল নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথাও বলেছেন। অবশ্য মাঠে সেই দলটির যা পারফরম্যান্স, তাতে এত দিনে সেই রোমাঞ্চ মিলিয়ে গেছে কি না কে জানে! দলটি হেরেছে টানা ৪ ম্যাচে।
আজ সিলেটে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারছে না দলটি। এসব দেখে শাকিব খান এভাবে বললেও বলতে পারেন—প্রচারণা তো করেই দিলাম, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’র মতো মাঠেও কি আমাকেই খেলতে হবে নাকি!
সেটা হয়তো তিনি বলবেন না। মাঠের খেলাটা ক্রিকেটারদেরই খেলতে হবে। তো এই মাঠের খেলা ঢাকা ক্যাপিটালস এতটা মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন? নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলা মুশকিল। ঢাকা যে মুখ থুবড়ে পড়ছে সব বিভাগেই!
ব্যাটিংয়ের কথা এলে সবার আগে দায়টা পড়বে তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের ওপর। জাতীয় দলের নিয়মিত দুই মুখের মধ্যে কে কতটা ব্যর্থ হতে পারেন সেই প্রতিযোগিতাতেই যেন নেমেছেন! টুর্নামেন্টে তানজিদের সর্বোচ্চ ৩০ আর লিটনের ৩১। আজ ওপেনিং থেকে সরেও দুজনে রান পাননি।
মতামত
খেলা
বিনোদন
চাকরি
জীবনযাপন
Eng
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
ছবি
ভিডিও
ভিডিও
ক্রিকেট
বিপিএলে শাকিব খানকেই কি এখন মাঠে নেমে খেলতে হবে
খেলা ডেস্ক
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৪১
ফলো করুন
যেভাবে বোল্ড হলেন হাবিবুর
যেভাবে বোল্ড হলেন হাবিবুরশামসুল হক
ঢাকা ক্যাপিটালস নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশিই ছিল। সে কৃতিত্ব অবশ্য কোনো ক্রিকেটারের নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সুপারস্টার শাকিব খানের। বাংলাদেশের চলচিত্র জগতের এই তারকা উপস্থিত ছিলেন প্লেয়ার্স ড্রাফটেও।
বারবার এই দল নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথাও বলেছেন। অবশ্য মাঠে সেই দলটির যা পারফরম্যান্স, তাতে এত দিনে সেই রোমাঞ্চ মিলিয়ে গেছে কি না কে জানে! দলটি হেরেছে টানা ৪ ম্যাচে।
আজ সিলেটে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারছে না দলটি। এসব দেখে শাকিব খান এভাবে বললেও বলতে পারেন—প্রচারণা তো করেই দিলাম, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’র মতো মাঠেও কি আমাকেই খেলতে হবে নাকি!
সেটা হয়তো তিনি বলবেন না। মাঠের খেলাটা ক্রিকেটারদেরই খেলতে হবে। তো এই মাঠের খেলা ঢাকা ক্যাপিটালস এতটা মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন? নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলা মুশকিল। ঢাকা যে মুখ থুবড়ে পড়ছে সব বিভাগেই!
বোল্ড তানজিদ
বোল্ড তানজিদশামসুল হক
ব্যাটিংয়ের কথা এলে সবার আগে দায়টা পড়বে তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের ওপর। জাতীয় দলের নিয়মিত দুই মুখের মধ্যে কে কতটা ব্যর্থ হতে পারেন সেই প্রতিযোগিতাতেই যেন নেমেছেন! টুর্নামেন্টে তানজিদের সর্বোচ্চ ৩০ আর লিটনের ৩১। আজ ওপেনিং থেকে সরেও দুজনে রান পাননি।
শাহাদত হোসেন ও হাবিবুর রহমান, যাদের এখন বিপিএল মাতানোর কথা তারাও হতাশ করেই যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে খেলার পর আজ দলে ফিরেছিলেন হাবিবুর। করেছেন ১২ রান। শাহাদত তো দল থেকেই বাদ পড়েছেন আজ। আজ দলে নেওয়া হয়েছিল নানা কারণে আলোচিত সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনকে। দুজনেই ব্যর্থ হয়েছেন।
এই দলের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা, যিনি নিজের সেরা সময় কাটিয়ে এসেছেন কয়েক বছর আগে। তিনি তো প্রতি ম্যাচ খেলবেন না! খুলনার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা এই অলরাউন্ডার আজ আউট হয়েছেন শূন্যতে। বড় নাম জেসন রয়ও ছিলেন ব্যর্থ। এককথায় সম্মিলিত ব্যর্থতার ফলই রংপুরের বিপক্ষে ১১১ রান, যা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
বোলিং আক্রমণে পেসার মোস্তাফিজুর, মুকিদুল আছেন। ১১১ রানের সম্বল নিয়ে তারা আর কী করবেন? এবারের বিপিএলে ১৮০ রানই নিরাপদ নয়। রংপুরও ৪০ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে। যা বিপিএলে তাদের টানা পঞ্চম।
আজকের ম্যাচের কথা ছাড়ুন! এই দুই পেসারকে সহায়তা করার মতো একজন বোলারও কি এই দলে আছেন? বোলারদের নামগুলো শুনুন—আলাউদ্দিন বাবু, শুবম রঞ্জন, থিসারা পেরেরা।
ঢাকার নাম আর কোচেই কোনো দোষ নেই তো! বিপিএলে গত মৌসুমে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম ছিল দুর্দান্ত ঢাকা। দলটি প্রথম ম্যাচে জেতার পর হেরেছিল টানা ১১টিতে। এবার হারল টানা ৪টিতে। সব মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে হেরেছে ঢাকা। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিরই কোচ ছিলেন খালেদ মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১১১/১০( তানজিদ ২০, রয় ১৮; নাহিদ রানা ৩/২১, আকিফ ২/১৩)
রংপুর রাইডার্স: ১১৩/৩(হেলস ৪৪, খুশদিল ২৭*; মোস্তাফিজুর ১/২৩, মোসাদ্দেক ১/১৩)
ফল: রংপুর ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাহিদ রানা