বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
Homeআর্ন্তজাতিকডেলিভারি সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিল আদ্-দ্বীন হাসপাতাল

ডেলিভারি সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিল আদ্-দ্বীন হাসপাতাল

- Advertisement -spot_img

দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা ছিল সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করা দরকার। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিল রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশে লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সিজারিয়ান প্রেগনেন্সি রোগীকেও নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিজারিয়ান ডেলিভারির পরও ৭০-৭৫ ভাগ মা পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে নরমাল ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত থাকেন। প্রথমবার সিজারিয়ান হওয়ার পরও দ্বিতীয়বার নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব। তবে এটি মূলত ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব। এজন্য অন্তঃসত্ত্বার শারীরিক অবস্থা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল সিজারিয়ান প্রেগনেন্সি রোগীকে নরমাল ডেলিভারি করে থাকে। এতে প্রসূতি মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকেন।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য আসা বেশ কয়েকজন রোগী নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে পেরে খুশি। সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে নানা চিন্তার মধ্যে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল আশার আলো দেখিয়েছে বলে আনন্দিত স্বজনরা।

আমেনা বেগম নামের এক রোগী জানান, ‘আমার প্রথম বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। এজন্য আমার পরিবারের সবাই সিজার করতে বলেছে। তবে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আমাকে নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। তাদের পরামর্শে আমি নরমাল ডেলিভারিতে সম্মতি দেই। নরমাল ডেলিভারি করাতে পেরে আমি অনেক খুশি।’

শরিয়তপুর থেকে আসা আরেক রোগীর স্বজন জানান, ‘আমার স্ত্রীর প্রথম সন্তান নারমালে ও দ্বিতীয় সন্তান সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। তাই আমি বাসা থেকে সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। তবে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। বিশেষ করে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

আদ্-দ্বীন হাসপাতালসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ‘আদ্-দ্বীন হাসপাতাল শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের আস্থা অর্জন করেছে। আমরা মূলত চেষ্টা করি নিরাপদ ডেলিভারি বা সেভ ডেলিভারির। সেভ ডেলিভারির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে থাকি।’

তিনি আরো বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে আমাদের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফরা খুবই আন্তরিক। এছাড়া আগের সিজারিয়ান ডেলিভারি থাকলেও আমরা রোগীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। তবে মা ও বাচ্চা যাতে সুস্থ থাকে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নরমাল ডেলিভারি করে থাকি।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here