শুক্রবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
শিরোনাম:
Homeজাতীয়নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন

নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন

- Advertisement -spot_img

 

ফরিদপুরের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে তিন হাজার ১৬২ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

প্রথম মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছেন নিক্সন চৌধুরী। এ ছাড়া তার নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ৫৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। যার মাধ্যমে মূলত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এ মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে স্ত্রী তারিন হোসেনকে। যেখানে স্বামী মুজিবুর রহমান চৌধুরীকেও (নিক্সন চৌধুরী) সহযোগী আসামি করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মিসেস তারিন হোসেন তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৮ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি তার নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আড়াল করতে ওই হিসাবগুলো ব্যবহার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। এ মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালাম।

অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লাপাত্তা তিনি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here