মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
শিরোনাম:
Homeআর্ন্তজাতিক'হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ পড়তে পারে সিআইএ'

‘হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ পড়তে পারে সিআইএ’

- Advertisement -spot_img

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। সিআইএ বা অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস গেলে তারা সেই ডিভাইসের তথ্য বা বার্তা সরাসরি অ্যাকসেস করতে পারে। সম্প্রতি ‘দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স’ পডকাস্টে এই দাবিটি করেন তিনি। সেখানে তিনি মার্কিন সরকারের নজরদারি এবং এনক্রিপশন ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করেন।

 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সাক্ষাৎকারের আয়োজনের চেষ্টা সম্পর্কে রোগানের একটি প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেছেন জাকারবার্গ। তিন বছরের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে সফল হন তিনি। কার্লসন তার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ এনএসএ এবং সিআইএকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তার ব্যক্তিগত যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করেছে।

 

এনক্রিপশনের সীমাবদ্ধতা

জাকারবার্গ স্পষ্টভাবে বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন কারণে ব্যবহারকারীর মেসেজের বিষয়বস্তু মেটা সার্ভারের মাধ্যমে পড়া বা দেখা সম্ভব নয়। তবে এই ফিচার ডিভাইসে থাকা ডেটা সুরক্ষিত রাখে না।

 

তিনি আরও বলেন, এনক্রিপশন এমনভাবে কাজ করে যে পরিষেবা পরিচালনাকারী কোম্পানি মেসেজের বিষয়বস্তু দেখতে পারে না। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যদি কর্তৃপক্ষ ডিভাইসে থাকা দুর্বলতাগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে, তবে এই সুরক্ষা বাইপাস করা সম্ভব হতে পারে।

 

সরাসরি ডেটার অ্যাকসেস পায় স্পাইওয়্যার টুলস

জাকারবার্গ স্পষ্টভাবে বলেছেন, পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার টুলসগুলো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরাসরি ডিভাইসের ডেটা অ্যাকসেস করতে সাহায্য করে। যোগাযোগের মধ্যে হস্তক্ষেপ না করেও টুলগুলো এনক্রিপ্টেড মেসেজ পড়তে, ছবি দেখতে এবং কলের ইতিহাস অ্যাকসেস করতে পারে। । এ তথ্যটি ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলোর সম্ভাব্য ঝুঁকি তুলে ধরে এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষায় উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে প্রদর্শন করে।

 

ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। জাকারবার্গ জানান, তারা ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ নামে একটি সুবিধা চালু করেছে, যার মাধ্যমে মেসেজগুলো নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। এর ফলে ডিভাইসে সংবেদনশীল ডেটার পরিমাণ কমে যায়।

 

তিনি দাবি করেন, ‘এনক্রিপ্টেড এবং ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজের মতো ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের ভালো নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার সুবিধা দেয়।’

 

এ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে জাকারবার্গ ডিজিটাল যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোর সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

 

তবে এনক্রিপশনের মতো ফিচারগুলো অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করে দেশটির সরকার।

 

২০২১ সালে এফবিআইয়ের (এফবিআই) একটি নথি প্রকাশ পেয়েছে। এই নথি থেকে বোঝা যায়, এজেন্সিগুলো হোয়াটসঅ্যাপ এবং আইমেসেজের মতো প্ল্যাটফর্মে এনক্রিপ্টেড মেসেজে কিছুটা প্রবেশ করতে পারে। যেমন—ক্লাউড ব্যাকআপ বা ডিভাইস অ্যাকসেসের মাধ্যমে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here