গৃহহীনরা সত্বর বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদী ভাঙন রূখতে সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
কৃষ্ণনগরের শামসুল আলম বলেন, গড়াই নদীর তীব্র ভাঙনে আমাদের বাড়ি সহ অনেক বাড়ি ফসলি জমি যে কোন সময় নদীতে বিলিন হতে পারে। খুবই আতংকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সহায় সম্বল হারানো বড়-লিয়া গ্রামের আঃ করিম বলেন, নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে পাউবোর একটি মৃতপ্রায় খালের ধারে আশ্রয় নিয়েছি। তিনি জানান, অনেক পরিবারই এভাবে খালের ধারে আশ্রয় নিয়েছে।
বড়ুরিয়া থেকে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে নদীতে মিশে গেছে, যা অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন ভূক্তভোগীরা।
এব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান, বড় ধরনের বরাদ্ধ হলে স্থায়ী বাঁধই একমাত্র সমাধান। তাছাড়া নদীর ভাঙ্গন ঠেকানো যাবে না। প্রতিবছর অস্থায়ী কিছু কার্যক্রম চললেও তা সমাধানের পথ না। তাই নদী ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে ঠেকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাদ্দর জন্য আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।
এব্যাপারে শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা( এসও) সুকর্ণ জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।