ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিলো কাতার। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি এই হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, জোরপূর্বক শ্রম ও পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে ইইউয়ের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যদি কঠোরভাবে নতুন আইন প্রয়োগ করে তবে, এই পদক্ষেপ নেবে দেশটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
চলতি বছর কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স নামে একটি আইন পাস হয়। এর নির্দেশিকায় বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কাজ করছে এমন বড় কোম্পানিগুলোর সরবরাহ চেইনে জোরপূর্বক শ্রমের ব্যবহার হচ্ছে বা পরিবেশের ক্ষতি করে কি-না তা পরীক্ষা করা যাবে। কোনও কোম্পানির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রমাণ মিললে ওই কোম্পানির বিশ্বব্যাপী টার্নওভারের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমান করার নির্দেশ রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কাতারএনার্জির প্রধান নির্বাহী সাদ আল-কাবি বলেন, ‘ইউরোপে গিয়ে যদি আমি আমার জেনারেটেড রাজস্বের ৫ শতাংশই হারাই, তবে আমি ইউরোপেই যাব না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভয় দেখাচ্ছি না। কাতারএনার্জির জেনারেটেড রেভিনিউ এর ৫ শতাংশ মানে কাতার রাষ্ট্রের জেনারেটেড রেভিনিউর ৫ শতাংশ। এটি জনগণের টাকা। আর তাই আমি এই ধরনের টাকা হারাতে পারি না এবং কেউই এই ধরনের টাকা হারানো মেনে নেবে না।’
ইইউ’র যথাযথ শ্রম আইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা উচিত বলে মনে করেন আল-কাবি।
এ ছাড়া, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির মূল্য নির্ধারণ তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাতারের কোনও উদ্বেগ নেই বলেও জানান তিনি।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এলএনজি রফতানিকারক দেশের মধ্যে অন্যতম কাতার। শীর্ষ সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপে একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে চাইছে দেশটি। ২০২৭ সাল নাগাদ প্রতি বছর ১৪২ মিলিয়ন টন তরলীকরণ ক্ষমতা প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে কাতার, বর্তমানে যা ৭৭ মিলিয়ন টন।