নাঈম শেখের লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে ১১৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ঢাকা মেট্রো। তারপর দারুণ বোলিংয়ে এই অল্প পুঁজিও খুলনার জন্য পাহাড়সম বানান বোলাররা। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের লক্ষ্যে বিশাল হোঁচট খায় খুলনা। আর পথে ফিরতে পারেনি তারা। বোলারদের নৈপুণ্যে মেট্রো ৩৮ রানে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে উঠলো মেট্রো।
আগে ব্যাটিং করে নাঈমের একার লড়াইয়ে মেট্রো ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে স্বল্প পুঁজি সংগ্রহ করে। জবাবে ১৭.৪ ওভারে ৮১ রানে অলআউট হয় খুলনা।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের কাছে হেরে গিয়েছিল লিগ পর্বে অপরাজিত থাকা মেট্রো। এবার ফাইনালে একমাত্র হারের শোধ নেওয়ার অপেক্ষায় তারা। মঙ্গলবার সিলেটে মুখোমুখি হচ্ছে রংপুর ও মেট্রো।
ছোট লক্ষ্য দিয়ে রাকিবুল হাসান ইনিংসের প্রথম ওভারে টানা দুই বলে আজিজুল হাকিম তামিম ও ইমরুল কায়েসকে ফেরান। শূন্যতে দুই উইকেট হারিয়ে আর দাঁড়াতে পারেনি খুলনা।
একে একে মোহাম্মদ মিঠুন ও এনামুল হক বিজয়কে থামিয়ে মেট্রো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মিডল অর্ডারে বড় ধাক্কা দেন, মারুফ মৃধা টেল এন্ডারে আঘাত করেন।
খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান আসে অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন এনামুল ও মাসুম খান টুটুল। এছাড়া পারভেজ জীবন (১৫) কেবল দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
মোসাদ্দেক ২.৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে মেট্রোর সফল বোলার। দুটি করে উইকেট নেন রাকিবুল ও মারুফ।
মেট্রোর ব্যাটারদের অবস্থা আরও শোচনীয় ছিল। কেবল তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করেছেন। পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন নাঈম। ৫৩ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫৭ রান করেন তিনি। এছাড়া ইমরানুজ্জামান (১৪) ও শহীদুল ইসলাম (১৬) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান।
মাসুম খান টুটুল, পারভেজ ও মেহেদী হাসান রানা সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন। লম্বা সময় পর মাঠে ফিরে মোস্তাফিজুর রহমান সবচেয়ে খরুচে ছিলেন। এক উইকেট নেন তিনি ৩৫ রান দিয়ে।