পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা-ঢাকা নতুন রুটে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস প্রথম দিনেই পৌনে ৩ ঘণ্টা দেরিতে খুলনা স্টেশনে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
সময়সূচি অনুযায়ী সকাল পৌনে ১০টায় ট্রেনটি ঢাকা পৌঁছনোর কথা। কিন্তু ট্রেনটি ১ ঘণ্টা দেরিতে পৌনে ১১টায় পৌঁছে ঢাকায়। আবার রাত ৮টায় ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওয়ানা করার কথা। কিন্তু ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট লেটে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। যা খুলনায় পৌঁছে পৌনে ৩ ঘণ্টা দেরিতে রাত ২টা ৪৪ মিনিটে।
ট্রেনের যাত্রী রেজাউর রহমান রনি জানান, অনলাইনে আপ-ডাউন টিকিট কেটে তিনি খুলনা থেকে যাত্রা করেন। ট্রেনটি ১ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা পৌঁছে। পৌনে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও সময় লাগে পৌনে ৫ ঘণ্টা। আর খুলনায় আসে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট দেরিতে।
জানা গেছে, বেলা পৌনে ১১টায় রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও ১ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করে। আর যশোর জংশন হয়ে দুপুর আড়াইটায় বেনাপোলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি হয়। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বেনাপোল থেকে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ২ ঘণ্টা দেরিতে রাত ৯টা ১০ মিনিটে পৌঁছে। এরপর ট্রেনটি জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করে রাত ২টা ৪৪ মিনিটে খুলনায় পৌঁছে।
খুলনা রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আশিক আহমেদ জানান, প্রথম দিন বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের আগ্রহ ও অনুষ্ঠানের কারণে সময় বেশি লেগেছে। ঢাকা ও বেনাপোলে অনুষ্ঠানের কারণে ট্রেনটি খুলনায় ফেরে সময়সূচির পৌনে ৩ ঘণ্টা দেরিতে।
তিনি বলেন, এরপর থেকে ট্রেনটির সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করতে সক্ষম হবে। ট্রেনটিতে ১২টি বগি রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি যাত্রীবাহী ও ১টি পণ্যবাহী। ১১টি বগিতে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। এই ট্রেনের একটি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে খুলনা এবং আশপাশের জেলার বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বা মালামাল ঢাকায় নিতে পারবে।