গত মৌসুমে শেখ জামালের হয়ে তিন ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিল সাইফুর রহমান মনির। দুটিতে জয় এসেছিল। এবার অভিজ্ঞতা একদমই বাজে। চট্টগ্রাম আবাহনীর হেড কোচ হয়ে মোটেও ভালো করতে পারছেন না। প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশ কাপ মিলিয়ে ৬ ম্যাচের সবকটিতে হার। গোল খেয়েছেন ২১টি। বিপরীতে দিতে পারেননি একটিও! এমন দলের হয়ে ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে অসহায়ত্ব বোধ করা ছাড়া আর কিবা করতে পারেন বাংলাদেশের ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের অন্যতম স্ট্রাইকার।
মৌসুমের আগে থেকে চট্টগ্রাম আবাহনী দল গঠন করতে পারবে কিনা ঘোরতর সংশয় ছিল। জাহিদ হাসান এমিলি-মামুনুল ইসলামসহ অন্যদের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত দল গঠন করে খেলাও শুরু করে। কিন্তু স্বল্প প্রস্তুতি ও মানসম্মত খেলোয়াড়ের অভাবে বন্দরনগীরর দলটি কোনোভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না।
মাঠে ৯০ মিনিট খেলছে ঠিকই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেভাবে করতে পারছে কই? হারের কালিমা নিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে। এমন দলের কোচ হয়ে নিজের কাছেই খারাপ লাগছে মনির। আজও ৬ গোলে হেরে বিষন্ন মনে মনি মাঠ ছাড়তে ছাড়তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘৬ ম্যাচে ২১ গোলের পর এখন ডাগ আউটে ভীষণ বোরিং লাগে। কেউ তো চায় না এমন দলের হয়ে কোচিং করাতে। সবাই চায় ভালোমানের দল নিয়ে লড়াই করতে। এখন কী করবো বলুন। স্বল্প প্রস্তুতি তারওপর এক বিদেশি ছাড়াও অন্যদের মানও বলার মতো নয়। তাই আমরা লড়াই করতে পারছি না।’
তবে ডাগ আউটে বোরিং লাগলেও কোচিং ছাড়ছেন না মনি। অপেক্ষা করছেন সুসময়ের। নিজেই জানালেন, ‘প্রথম পর্বে কিছু হবে বলে মনে হয় না। সামান্য ভুলের কারণে গোল হচ্ছে। সুযোগ পেয়েও আবার গোল করতে পারছি না। এখন বিরতিতে বিদেশি খেলোয়াড় যুক্ত করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় কিছু খেলোয়াড়ও বদল হতে পারে। তখন যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আর কোচ হয়ে দলের শুধু প্রস্তুতি নয়, অর্থনৈতিক সহ অন্যদিকও অন্যদের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে। তাই দল ছাড়ার সুযোগ নেই। তবে আশাবাদী একসময় হয়তো খারাপ সময় কেটে যাবে।’