জিসান আলমের তাণ্ডবে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল সিলেট বিভাগ। কিন্তু এনসিএলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনই বুঝিয়ে দিয়েছে জমজমাট হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। শেষ বলে শুভাগত হোমের বীরত্বে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে ঢাকা বিভাগ।
শেষ বলে ঢাকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচেই শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত। যদিও জিসানের তাণ্ডবের পর ঢাকার জয়ের ভিতটা গড়েছেন আরিফুল ইসলাম। ম্যাচসেরাও তিনি। দলীয় ২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর নামেন আরিফুল। তার পর শুরু হয় তার ঝড়। ৪৬ বলে ৮ ছক্কায় ৯৪ রান করে ম্যাচটা নিজেদের কাছে আনতে ছিল তারই ভূমিকা। আরাফাত সানি জুনিয়রের সঙ্গে মিলে যোগ করেছেন ৮৩ রান। আরাফাত ১৮ বলে করেছেন ২৭।
আরিফুল যখন ফেরেন, ঢাকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আর ৬৬ রান। তখন বল আছে ৪৪টি। পঞ্চম উইকেটে মাহিদুলের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শুভাগত।
এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই তাণ্ডব চালান সিলেট বিভাগের জিসান আলম। ঢাকার বিপক্ষে মাত্র ৫২ বলে উপহার দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। নারায়ণগঞ্জের এই তরুণের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভর করে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জিসানের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। ওপেনিংয়ে নেমে ২৭ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার পরই শুরু করেন ঝড়। ৩৯ বলে পূরণ করেন প্রথম হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে লাগে মাত্র ১৩টি বল। সেঞ্চুরির পর বামহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলামে ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ৪টি চার ও ১০ ছক্কায় ফিরেছেন শতরানেই।
অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে আসা জিসানের আগের দুই ম্যাচে স্কোর বেশি ছিল না। মাত্র ১৫ রান করেছিলেন। জিসানের আউটের পর তৌফিক ২৯, অমিত হাসান ২৬ ও মাহফুজুর রহমান ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছেন।
ঢাকার হয়ে নাজমুলই ছিলেন সেরা বেলার। ২৮ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এদিকে, সিলেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে বরিশালকে ৩১ রানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। শুরুতে ৪ উইকেটে ১৯২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬১ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ঢাকার নাঈম।।