• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]

ভারতের পার্লামেন্টে বিজেপি-কংগ্রেস এমপিদের হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রিপোর্টার নাম: / ৭৫ জন দেখেছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রতিবাদ, পাল্টা প্রতিবাদ, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ভারতের পার্লামেন্ট।  বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘আম্বেদকর তো ফ্যাশন’-এমন মন্তব্যের জেরে পার্লামেন্টে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘি ঢালে কংগ্রেস এমপি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এক পুলিশি মামলা। বিজেপি ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদ চলাকালীন বিজেপির দুই এমপি প্রতাপ সারেঙ্গি এবং মুকেশ রাজপুত ‘গুরুতর আহত’ হয়েছেন। রাহুল গান্ধীর কারণে তারা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরন রিজিজু। রাহুল গান্ধীকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, ‘কোন আইনে তিনি অন্য এমপিদের শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারেন?’ বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী তার সমর্থকদের দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে বিরোধীদের পার্লামেন্টে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন।

কংগ্রেস তাদের একজন সদস্যের আহত হওয়ার দাবি করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন যে প্রতিবাদের সময় তার হাঁটুতে আঘাত লেগেছে।তাদের দাবি, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।

প্রতাপ সারেঙ্গির দাবির জবাবে রাহুল গান্ধী বলেছেন, মূলত বিজেপি এমপিরা তার পার্লামেন্টে প্রবেশ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাকে এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন, যার ফলে সংঘর্ষ বাধে।

তিনি আরও বলেন, তবে এই ধাক্কাধাক্কিতে আমরা প্রভাবিত হই না। এটা সংসদ। আমাদের ভেতরে যাওয়ার অধিকার আছে।

তবে আহত বিজেপি সাংসদ মুকেশ রাজপুত বলেন, তিনি সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন রাহুল গান্ধী  এক এমপিকে ধাক্কা দেন। আর ওই এমপি এসে তার ওপর পড়ে যাওয়ায় তিনি আহত হন।

পরে পার্লামেন্টের বাইরে দেখা যায় মুকেশ রাজপুতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের জেরে। সোমবার অমিত শাহ বলেন, ‘এখন আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর…’ বলা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যদি তারা (বিরোধী দল) এতবার ভগবানের নাম নিত, তাহলে তারা স্বর্গে জায়গা পেত।’

এই মন্তব্যে বিরোধীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি এর প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেয় এবং অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়া ও পদত্যাগের দাবি তোলে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানান, যদি তার (মোদি) আম্বেদকরের প্রতি কোনও সম্মান থাকে, তাহলে তিনি অমিত শাহকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেবেন।

তবে অমিত শাহ বিরোধীদের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বলেন, তার বক্তব্যকে ‘তথ্য বিকৃত করে’ উপস্থাপন করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ