• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
শৈলকুপায় টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল দশা নাটোরে রুম টু রিডের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন সালমান হত্যার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলায় গেস্খফতার-১ নড়াইল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রাইভেট হাসপাতাল অনার্স এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে রুগীরা শৈলকুপায় বিষধর সাপের পানি খাওয়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক টিসিবির পণ্য মোড়ক বদলে বিক্রি করায় নড়াইলে দোকানিকে জরিমানা ভাটায় যাত্রা! জোয়ারের সময় বেঁধে রাখা! জোয়ার-ভাটার সাথে জীবনটা বাঁধা নড়াইলে বিচার প্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন

কেউ কাটছেন রড, কেউ নিয়ে যাচ্ছেন লোহালক্কড়

রিপোর্টার নাম: / ৩১ জন দেখেছে
আপডেট : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে গতকাল তৃতীয় দিনেও উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এ সময় কেউ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির ভাঙা কংক্রিটের স্ল্যাব থেকে করাত দিয়ে রড কেটে নিচ্ছিলেন, কেউ নিয়ে যাচ্ছিলেন লোহালক্কড়।

 

সকাল ১০টায় দেখা গেছে, একজন রড কেটে নিচ্ছেন। তিনি দিনমজুর। এ প্রতিবেদককে তিনি জানান, ৬ কেজি রড কেটেছেন। এগুলো তিনি বাজারে বিক্রি করবেন। সে টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো কিছু খাবেন। সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, ৩২ নম্বরের বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ থেকে রড, লোহালক্কড়, ইটসহ যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্তের মানুষ। কয়েকজনকে হাতুড়ি দিয়ে কংক্রিটের বড় স্ল্যাব ভেঙে রড বের করে আনতে দেখা গেছে। একদল মানুষ করাত দিয়ে সে রড কাটছিল। কাউকে বাড়িটির ইট নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এদিনও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সামনে অনেকেই আসেন সর্বশেষ অবস্থা সরাসরি দেখতে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাড়িটি। ছবি তোলা ও ভিডিও করার পাশাপাশি অনেককে দেখা গেছে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে। অনেকেই ভাঙা বাড়ির ভিতরে ও আশপাশে ঘুরে দেখেন। কেউ সেলফি তুলেছেন। ৩২ নম্বর সড়ক দিয়ে যারাই যাচ্ছেন, তাদের অনেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে জানালা দিয়ে বাড়িটি দেখছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সেখানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

 

উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এক্সকেভেটর (খননযন্ত্র), ক্রেন ও বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে পতিত শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদেই ছাত্র-জনতা ৩২ নম্বরের বাড়ি অভিমুখে ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেয়। সে কর্মসূচিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবের বাড়ি। কেবল ৩২ নম্বরের বাড়ি নয়, ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও শেখ পরিবারের সদস্যদের বাসভবনও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম, যশোরসহ কয়েকটি জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ