• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
নাটোরে রুম টু রিডের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন সালমান হত্যার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলায় গেস্খফতার-১ নড়াইল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রাইভেট হাসপাতাল অনার্স এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে রুগীরা শৈলকুপায় বিষধর সাপের পানি খাওয়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক টিসিবির পণ্য মোড়ক বদলে বিক্রি করায় নড়াইলে দোকানিকে জরিমানা ভাটায় যাত্রা! জোয়ারের সময় বেঁধে রাখা! জোয়ার-ভাটার সাথে জীবনটা বাঁধা নড়াইলে বিচার প্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইন নামের শিশু নিহত

২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল: আদালত

রিপোর্টার নাম: / ৩৪ জন দেখেছে
আপডেট : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রাজধানীর নয়াপল্টনে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে কাকরাইল ও আশেপাশের এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। আদালত বলেন, ২৮ তারিখে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল আমরা টেলিভিশনে দেখেছি।

 

সোমবার যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এডিসি শাহেন শাহ’র রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এ মন্তব্য করেন।

 

এদিন শাহেন শাহ’র ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

 

শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ডিবি হারুন ও শাহেন শাহ রমনার দায়িত্বে ছিল। বিএনপির এই আন্দোলন বানচালের জন্য পরিকল্পনা করে তারা। পরবর্তীতে তাদের সহায়তায় মেয়র জাহাঙ্গীর বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলি করেন।

 

তিনি বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকতো সেদিন আওয়ামী লীগও সবসময় একটা সমাবেশ ডাকতো। আর তার নাম দিত শান্তি সমাবেশ। কিন্তু তাদের হাতে থাকতো অস্ত্র। আর এতে হারুন, শাহেন শাহ’র নির্দেশে সহায়তা করতো পুলিশ বাহিনী।

 

পরে শুনানিতে শাহেন শাহ’র আইনজীবী বলেন, এজাহারে তার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। সে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না। এসময় আদালত বলেন, ”আপনাদের পিটিশনে আছে উনি তখন সেখানে দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল আমরা সেটা টিভিতে দেখেছি।” পরে আদালত আদেশ দেন।

 

এছাড়াও রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে রাজধানীর মিরপুর থানার আসিফ হত্যা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

 

এছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তারকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সব আসামির জামিন নামঞ্জুর করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এদিকে রাজধানীর কাফরুল থানার রাব্বি ও মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলায় কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা ও সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুকে ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ সিন্ধু ও হাবিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

 

সাবেক আইজিপি মামুন, সাদেক খানসহ নতুন মামলায় গ্রেফতার ৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেফতার দেখানো অন্যরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাইমুল ইসলাম রাসেল।

 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

 

এর মধ্যে আদাবর থানার হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি মামুন, খিলগাঁও থানার হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় সাদেক খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও রামপুরা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় শাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি ও মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় মো. নাইমুল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ