• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
সালমান হত্যার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলায় গেস্খফতার-১ নড়াইল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রাইভেট হাসপাতাল অনার্স এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে রুগীরা শৈলকুপায় বিষধর সাপের পানি খাওয়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক টিসিবির পণ্য মোড়ক বদলে বিক্রি করায় নড়াইলে দোকানিকে জরিমানা ভাটায় যাত্রা! জোয়ারের সময় বেঁধে রাখা! জোয়ার-ভাটার সাথে জীবনটা বাঁধা নড়াইলে বিচার প্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইন নামের শিশু নিহত নড়াইলের লোহাগড়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নড়াইলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রিপোর্টার নাম: / ২৪ জন দেখেছে
আপডেট : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে হামিদা বেগম হত্যা মামলায় তার স্বামী ইব্রাহিম মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন। ইব্রাহিম মোল্যা মাগুরা জেলার মাগুরা গ্রামের আ. জব্বার মোল্যার ছেলে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান জিয়া নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলা দায়েরের প্রায় ২২/২৩ বছর আগে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হামিদা বেগমের সাথে মাগুরা জেলার মাগুরা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। হত্যার প্রায় ২ বছর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইব্রাহীম ও মামলার অন্য আসামিরা হামিদা ও তার মেয়েকে মারধর করে। এ নিয়ে থানায় মামলা হলে আসামিরা হামিদাকে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করেন। এর মধ্যে ইব্রাহিম মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে কুলসুম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে আসামিরা হামিদাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হামিদার বাবার বাড়ির লোকজন তার বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। তার ছেলে তার নামে টাকা পাঠালে ইব্রাহীম সেই টাকার জন্য হামিদাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরপর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশে গরু বাধতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে। অনেক খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়না। পরে ১০ জুলাই সকালে ইব্রাহীম এর ছোট বউ কুলসুম বেগম বাডির পাশে কাজলা নদীতে দেশীয় অস্ত্রবিদ্ধ অবস্থায় হামিদার মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওইদিন নিহতের ভাই রেজাউল নড়াইল সদর থানায় বাদী হয়ে ইব্রাহিমসহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের ধার্য দিনে আদালত ইব্রাহিম মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ