প্রথম ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ১১৫ রানে হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। সেখান থেকে স্কোরটা ২২৭ পর্যন্ত গেছে মূলত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসানের ৯২ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিতে। যদিও সেন্ট কিটসের উইকেটে এই রান যথেষ্ট ছিল না। তাতে ৭ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়েছে স্বাগতিক দল। সিরিজ হারের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিংকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন।
ম্যাচের পর মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের স্কোরটা যথেষ্ট ছিল না। এই উইকেটে ৩০০ প্লাস রান দরকার ছিল। প্রথম দশ ওভার ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু এত কম স্কোর এই উইকেটে ডিফেন্ড করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে মিরাজ বলেছেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে মোটেও ভালো ব্যাটিং করিনি। কোনও জুটি ছিল না। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম সাকিব খুব ভালো ব্যাট করেছে। কিন্তু ব্যাট হাতে আমাদের ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে। ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছি। তখনও আশা করেছি, আমরা হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।’
বাংলাদেশকে ২২৭ রানে গুটিয়ে স্বাগতিক দল ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে। ব্র্যান্ডন কিং ৭৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাতে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। এভিন লুইসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই তিনি যোগ করেন ১০৯ রান! লুইস নিজেও ৬২ বলে ৪৯ রান করে ফিরেছেন। তার পর কেসি কার্টিকে নিয়ে কিং ৬৬ রান যোগ করেছেন। কিংকে সাজঘরে ফেরান নাহিদ রানা। কার্টি ৪৫ রানে ফিরলে তার পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শাই হোপ (১৭) ও শেরফানে রাদারফোর্ড (২৪)।
সিরিজ জয়ের পর ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে আমরা ধুঁকছিলাম। কিন্তু এখন আমরা ৩-০ তে সিরিজ জয়ের আশা করছি। প্রতিটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট অর্জন করে আমরা পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করতে চাই।’