ঈদুল আজহা, যেটিকে কুরবানির ঈদও বলা হয়, মুসলিমদের একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি ইসলামী ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয়। ঈদুল আজহার মূল তাৎপর্য হলো হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দিতে চাওয়ার কাহিনী।
এই উৎসবটি মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে পালন করা হয়:
১। কুরবানি করা: মুসলমানেরা পশু (গরু, ছাগল, ভেড়া, উট ইত্যাদি) কুরবানি দেন, এবং সেই মাংস তিনভাগে ভাগ করে: একভাগ নিজের জন্য, একভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য এবং একভাগ দরিদ্রদের জন্য।
২। হজ্জ পালন: যারা হজ্জে যান, তারা ঈদুল আজহার দিন বিশেষ কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। হজ্জ হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি জীবনে একবার সম্পন্ন করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের কর্তব্য।
ঈদুল আজহার সময় সাধারণত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা হয়, নতুন জামাকাপড় পরা হয় এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়ে খাবার গ্রহণ করা হয়।
ঈদুল আজহার মাধ্যমে মুসলমানেরা ত্যাগের মহান আদর্শ অনুসরণ করেন এবং একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
হিজরি চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহারের মধ্যে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে।
এবার (২০২৪ সালে) ১০ই জিলহজ বা কোরবানির উৎসব হতে পারে ১৬ বা ১৭ জুন। সৌদি আরবের চাঁদ পর্যবেক্ষণ কমিটির মতে, দেশে ঈদুল আজহাপালিত হবে ১৬ জুন।
বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরের দিনই ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। অতএব, বাংলাদেশে ত্যাগের উৎসব ১৭ই জুন প্রত্যাশিত। তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।