নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষের ২০টি বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন দুজন। শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গ্রুপের লাহুড়িয়া (তালুকপাড়া) গ্রামের গিয়াস উদ্দীন মোল্যা ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রুপের ওই গ্রামের ডহপাড়ার তরিকুল মোল্যা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দীন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক রোম আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম এ হান্নান (রুনু) হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
শনিবার রাতে উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামে পরাজিত প্রার্থী এম এ হান্নান রুনু ও সদ্য নির্বাচিত রোম চেয়ারম্যান সমর্থিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দাউদ হোসেন গ্রুপের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা ও বাকবিতণ্ডার জেরে লাহুড়িয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থিত গিয়াস উদ্দীন মোল্যার ওপর হামলা চালায় সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থিত লোকজন। আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে নব নির্বাচিত রোম চেয়ারম্যান সমর্থিত দাউদ গ্রুপের লোকজন সংঘবদ্ধভাবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডহরপাড়া এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজনের অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে গবাদি পশু লুটপাট চালায়। এতে ওই এলাকার তরিকুল মোল্যা গুরুতর আহত হলে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আবার রুনু চেয়ারম্যান গ্রুপ একত্রিত হয় দাউদ গ্রুপের একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দীন বলেন, ঘটনার পরপরও এসপির নির্দেশে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিমের সমন্বয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।