কুরবানী বা কুরবানির পশু জবাই করা ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। তবে এটি ফরজ (বাধ্যতামূলক) নয়; বরং এটি ওয়াজিব (অত্যাবশ্যকীয়) হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে কিছু প্রাসঙ্গিক পয়েন্ট দেওয়া হলো:
১। ওয়াজিবের মানে: ওয়াজিব এমন একটি বিধান যা পালন করা অত্যাবশ্যকীয়, কিন্তু ফরজের মতো কঠোরভাবে নয়। ওয়াজিব পালন না করলে গুনাহগার হতে হয়, কিন্তু এটি ফরজের মতো অবহেলার শাস্তি বহন করে না।
২। কার ওপর ওয়াজিব: কুরবানি সাধারণত সেইসব মুসলিমদের ওপর ওয়াজিব যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। নেসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে সোনা, রূপা, নগদ অর্থ বা ব্যবসার মালামাল এর নির্দিষ্ট পরিমাণ বোঝানো হয়, যা এক বছর ধরে ধরে রাখা হয়েছে এবং তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত।
৩। হাদিস থেকে নির্দেশনা: হাদিসে এসেছে যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবীরা কুরবানি পালন করতেন এবং মুসলমানদেরকেও তা পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বোঝা যায় যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কাজ।
৪। উৎসবের উদ্দেশ্য: কুরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তোলা। এটি মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতা এবং দরিদ্রদের সহায়তা করার মনোভাব সৃষ্টি করে।
সুতরাং, কুরবানি ওয়াজিব হওয়ায় এটি পালন করা অত্যাবশ্যক, কিন্তু এটি ফরজ নয়। ইসলামী বিধান অনুসারে, সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কুরবানি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।