বাংলাদেশের আইনে যে কোনো ধরনের জুয়া খেলা এবং বাজি ধরা নিষিদ্ধ। অপপ্রচারও নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পরীমনি রোববার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি অনলাইন বেটিং (জুয়া) প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছেন।
এটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন বাজি রেখে জনসাধারণকে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়েছিল। ফেসবুকে পরীমনির 16 মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
এই ধরনের জুয়ার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচার অবৈধ। জুয়া খেলার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । ফলে জুয়ার বিজ্ঞাপন ক্রমেই বাড়ছে।
শুধু পরীমনিই নয়, সম্প্রতি অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহিসহ বেশ কয়েকজন তারকাকেও অবৈধ জুয়ার প্রচার করতে দেখা গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, তারকাদের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় মূলত সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য। সাধারণ মানুষ তারকাদের কথায় বিমোহিত হয়ে জুয়ার ফাঁদে পড়ে।
অনলাইন জুয়ার প্রসার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে বলেও জানিয়েছে টিআইবি।