রাজধানীর ইসলামপুরের নারীদের কাপড়ের একটি দোকানে কাজ করতেন সাঈদ আহমেদ। ওই প্রতিষ্ঠানের কাপড় বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রেমিকা রিতা ও সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডিবি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ইসলামপুরের নাশওয়ান ফ্যাশন নামে প্রতিষ্ঠানে ২০২২ সাল থেকে চাকরি করেন সাঈদ। তিনি ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার পূর্ব নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। এর আগে চাকরি করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। তার ঘরে দুই স্ত্রী রয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ আগের দুদিন শুক্রবার ও শনিবারে ভালো বেচাকেনা হয়। বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা দোকানের লকারে রাখা হয়। রোববার সাঈদ আরেক কর্মচারীকে নিয়ে কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকে যান। পথে কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই ব্যাংকে প্রবেশ করে। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ব্যাগ ভর্তি ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে চলে যায় গাজীপুরে, যেখানে প্রেমিকা রিতা থাকেন।
মশিউর রহমান জানান, গাজীপুর থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যায় নরসিংদী, তারপর বগুড়া। বগুড়ায় দুজন প্রচুর কেনাকাটা করে। এরপর যায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেঁতুলিয়া। সেখান থেকে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে। কোতোয়ালি জোনাল টিমের এডিসির নেতৃত্বে সদরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনের কাছ থেকে ৩১ লাখ সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মশিউর রহমান বলেন, প্রেমিকাকে নিয়ে ভারতে পালাতে চেয়েছিল সাঈদ। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। সেখানে ব্যর্থ হয়ে যশোর দিয়ে যাওয়ার পথে ফরিদপুর যায়। সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।