নড়াইল সদর উপজেলায় দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে রুম্পা বেগম নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী দিনার মুন্সি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এরপর কোনো প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে ওই গৃহবধূকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় বলে দাবি করেছেন রুম্পার স্বজনরা।
রোববার ওই গৃহবধূ চিকিৎসা নিতে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার জুড়ুলিয়া গ্রামে নারী নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ একই উপজেলার আগদিয়া গ্রামের সাইফুল শেখের মেয়ে। তার একটি ছেলে রয়েছে।
এ বিষয়ে রুম্পা ও তার স্বজনদের অভিযোগ, রুম্পার স্বামী দিনার মুন্সি যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করে। সামর্থ্য না থাকলেও রুম্পার পরিবার মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় ধার-দেনা করে অনেক টাকা-পয়সা যৌতুক হিসেবে দেয় দিনারকে। কিন্তু দিনার ও তার পরিবারের লোভের সীমা ছিল না। সম্প্রতি বিদেশ যাবার কথা বলে দিনার আবারও দু’লাখ টাকা দাবি করে রুম্পাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এবার এ গৃহবধূর পরিবার টাকা দিতে না পারায় দিনার মুন্সি ও তার পরিবার রুম্পাকে বেদম মারপিট করেছে। এরপর তাকে তালাবদ্ধ করে রাখে। সেখান থেকে রোববার ভোরে রুম্পা কৌশলে পালিয়ে বাবার বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়। পরে স্বজনরা রুম্পাকে চিকিৎসা দিতে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দিনার মুন্সি ও তার পরিবারের লোকজনের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।