বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল)।
সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইকোনোমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসেরও বেশি সময় রফতানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়া হলো। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। যার মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পাবে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশে রফতানি করা পেঁয়াজের দাম কত হবে তা এখনও জানায়নি এনসিইএল। বর্তমানে, মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ১৬ রুপি।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যপণ্যটির রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এই নির্দেশনা ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এদিকে, রমজানে ভারতীয় পেঁয়াজের পুরানো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের অনুপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম।
সম্প্রতি ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকরা সেদেশের সরকারকে দেয়া এক চিঠিতে জানায়, রফতানি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি পেঁয়াজ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে।