মানিলন্ডারিং আইনের একটি মামলায় মেজর (অব:) এম, এ মান্নানের স্ত্রী উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে তাজরিনা মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
একই মামলায় আদালত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রপাইটর উম্মে কুলসুম মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলায় উপরোক্ত আসামিরা ছাড়াও বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস, এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি। জামিনপ্রাপ্ত উম্মে কুলসুম মান্নান বিআইএফসির চেয়ারম্যান এবং মেয়ে তাজরিনা মান্নান পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করে। উক্ত ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।