শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
শিরোনামঃ
||দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ৩||শৈলকুপায় দাদার লাশ দেখে ফেরার পথে ট্রাকের ধাকায় নাতি ছেলে নিহত||শৈলকুপায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ, সংসদ সদস্যের গাড়ি ও আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী ভাংচুর||নড়াইল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র পৌর মেয়র আনজুমান আরা সভাপতি নির্বাচিত||নড়াইলে মধুমতি নদী থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার||নড়াইলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদান||মৌলভীবাজারে ইয়াবা, গাঁজা, চোলাই মদসহ আটক ৪||নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের ২০২৪-২০২৫ বর্ষের জন্য নবগঠিত শিক্ষক পরিষদের অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত||নড়াইলের স্মার্ট লোহাগড়া গড়ার লক্ষ্যে সৌন্দর্যবর্ধন কর্মসুচির উদ্বোধন||শ্রীমঙ্গলে নতুন এসি ল্যাণ্ড সালাউদ্দিন বিশ্বাসের যোগদান||শ্রীমঙ্গলে ‘কৃষক জিএপি সার্টিফিকেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ||নড়াইলে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তজার্তিক দিবস পালিত||শ্রীমঙ্গলে বিদেশি মদসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার||ঢাকার বংশালে হরিজন পল্লীর বাসিন্দাদের কাউন্সিলর আউয়াল বাহিনীর বর্বর হামলা বন্ধের দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত||নড়াইলে চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন
Homeধর্মরমজানে ইতিকাফ কখন করলে বেশি সওয়াব

রমজানে ইতিকাফ কখন করলে বেশি সওয়াব

ডেস্ক রিপোর্ট

রমজানের একটি গুরুত্বপুর্ণ আমল হলো ইতিকাফ । আর শেষ দশকে ইতিকাফ আরো বেশী ফজিলতময়। মূলত শবেকদর লাভ ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, যদি শুধু ২৭ রমজান অথবা শেষ তিন দিন ইতিকাফ করে কেউ তবে সুন্নত আদায় হবে? কিংবা কখন ইতিকাফ কররে বেশী সওয়াব পাওয়া যাবে।

শবে কদর সম্পর্কে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও বিতর্কমুক্ত অভিমত হলো- শবেকদর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কারও জন্য ইবাদত করা সম্ভব না হলে ২৭তম রাতে কিছুতেই উদাসীন থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে ওই দিন মাগরিব ও এশার নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সে-ও শবেকদরের ফজিলত পেয়ে যাবে।

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)

হজরত শুবা (রহ.) বলেন, উবাই ইবনে কাব (রা.) শবেকদরের রাতে বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি তা সম্পর্কে অবগত আছি। (আর তা হলো ২৭তম রাত) কেননা রাসুল (সা.) এ রাতে আমাদের নামাজে দাঁড়াতে আদেশ করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৭৬২)

আমাদের দেশের অনেক এলাকায় দেখা যায়, তারা রমজানের শেষ দশকের ইতেকাফ না করে শুধু ২৭ তারিখে ইতিকাফ করে থাকে। এমনকি অনেক এলাকায় ২৭ তারিখের ইতিকাফ জরুরিও মনে করে। নফলের নিয়তে জরুরি মনে না করে ২৭ তারিখ বা অন্যকোনো দিনে ইতিকাফ করলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য শুধু ২৭ তারিখে ইতিকাফকে জরুরি মনে করার অবকাশ নেই।

ইতিকাফের দিনগুলোর আমল
ইতিকাফের দিনগুলোতে ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুআক্কাদা ছাড়াও সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা ও অন্যান্য নফলগুলোর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কারণ, এ মাসে নফল ফরজের সমতুল্য।

ইতিকাফ অবস্থায় অবসর সময়গুলোতে নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ করবেন ও কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত করবেন।

রমজানে ইতিকাফ কখন করলে বেশি সওয়াব

এবাদত করে ক্লান্ত হয়ে গেলে কিছু সময় বিশ্রাম করা যেতে পারে। ক্লান্ত হয়ে তন্দ্রাভাব নিয়ে এবাদত করবেন না। বরং কিছু সময় বিশ্রাম ও আরাম করে উদ্যম এবং একাগ্রচিত্তে এবাদতে নিমগ্ন থাকাটাই ভালো।

লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য প্রত্যেক ইতিকাফকারীকে ২১ তারিখের রাত থেকে ২৯ তারিখ রাত পর্যন্ত প্রত্যেক বেজোড় রাতগুলো কাজে লাগানো উচিত। যদি পুরো রাত জাগ্রত থাকা সম্ভব না হয় তা হলে অধিকাংশ সময়ই জাগ্রত থাকা উচিত।

অনেক ২৭ রমজানের রাতের পর ইবাদতের প্রতি উদাসীন হয়ে যায়। এটা মারাত্মক ভুল। কেননা লাইলাতুল কদরের সম্ভাবনা ২৯ তারিখেও আছে। এ ছাড়া রমজানের এক একটি মুহূর্ত অনেক মূল্যবান।

হাদিস শরিফে রমজানের শেষ দিনগুলোতে এবং শেষ রাতগুলোতে অধিক ক্ষমার সুসংবাদ এসেছে। এ কারণে শাওয়ালের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত পূর্ণ ধৈর্য ও সবরের সঙ্গে এবাদতে মগ্ন থাকা উচিত। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি, চার কুলসহ অন্যান্য তাসবিহ-তাহলিল আদায় করা।

ইতিকাফের দিনগুলোর গুরুত্ব বুঝে সে দিনগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে দুনিয়াবি সব ব্যস্ততা থেকে নিজেকে অবসর করে ইবাদতে নিমগ্ন হতে হবে। বিশেষত মোবাইল থেকে যথাসাধ্য নিজেকে দূরে রাখা।

Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
সর্বশেষ খবর
আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here