০২১ সালে মাহমুদার স্বামী শাইনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় ঘটনাস্থলে তার ৬ বছরের ছেলে উপস্থিত ছিল। শাইনুদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ব্যবসার সব অর্থ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, শাইনুদ্দিন মেজর (অব.) মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যেৌথ ব্যবসা করেন। মৃতু্যর পর তার ব্যবসার মূলধন ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ওই মেজরের কাছে সঞ্চিত ছিল। পরে মেজর মোস্তফা শাইনুদ্দিনের ছেলেমেয়ের কথা ভেবে ওই টাকা শাইনুদ্দিনের মা আকলিমার কাছে জমা রাখেন। পরে তিনি শাইনুদ্দিনের স্ত্রীর কাছে টাকার বিষয়টি পরিষ্কার করেন। সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য মাহমুদা তার শাশুড়ির কাছে স্বামীর টাকা চাইলে তিনি নানা বাহানা শুরু করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এর মীমাংসা করতে চাইলেও মাহমুদার শাশুড়ি তাতে সাড়া দেননি। একপর্যায়ে মাহমুদা ও তার সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
মাহমুদা বলেন, ৪ বছর আগে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়। তিনি দুটি নাবালক সন্তান রেখে গেছেন। আমার শ্বশুরও অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন। আমার সন্তানদের পড়াশোনার খরচসহ অন্যান্য খরচ চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। শাশুড়িকে ব্যবহার করে আমার ভাসুর মাঈনুদ্দিন একাই সব সম্পত্তি ভোগদখল করছেন। বিষয়টি শাশুড়িকে জানালে তিনি পাত্তা দেন না। উলটো আমাকে হুমকি দেন। আমার স্বামীর ন্যায্য অধিকার ও এতিম বাচ্চাদের যাতে কেউ বঞ্চিত করতে না পারে এজন্য প্রশাসনের সাহায্য চাই।