ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা তো শুরু থেকেই বলে আসছি, এই সরকারকে ফেল করানো যাবে না। এই সরকার ফেল মানে আমাদেরও ফেল। আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এত রক্ত, বহু মানুষ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসবই তো বৃথা যাবে, যদি সরকার ফেল করে।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই নায়ক বলেন, ‘মানুষ জানতে পারছে ছাত্ররাও জানতে পারছে; কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন বিষয়গুলো আগে থেকে জানতে পারছে না? সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে এ জিনিসগুলো কেন থামানো হচ্ছে না? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তো দেখছি ছাত্রদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ দাঁড়িয়ে দেখে, এটা হলো কীভাবে? এভাবে তো এটা বন্ধ করা যাবে না।’
কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ছাত্রদের এক কলেজ থেকে আরেক কলেজে গিয়ে মারামারির যে ঘটনা ঘটল, ভাঙচুর করে যে উল্লাস তাদেরকে করতে দেখেছি, এদেরকে যদি কড়া শাসন না করা হয় তাহলে তো থামবে না।’
সরকারের উদ্দেশ্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যারা অযোগ্য আছে, তাদের সরিয়ে দেওয়াই হবে উচিত সিদ্ধান্ত। তাদের বদলে নতুন লোক নেন। দুই সমন্বয়ক যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন, তারাই তো সব ঠিকঠাক করছেন। তারা তো ঘুমাতেও পারছেন না। সব কাজ তো তাদেরকেই করতে দেখি, বাকিরা কই? তাদের তো কোনো কথাই দেখি না।’